সাবেক স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল বিশ্বজুড়ে।
Published : 12 Apr 2024, 01:27 AM
যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের তারকা ফুটবলার ও অভিনেতা ওজে সিম্পসন শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন। সাবেক স্ত্রীকে খুনের অভিযোগসহ অনেক চাঞ্চল্যকর লড়াইয়ে জয়ী হলেও এবার আর পারলেন না; দীর্ঘদিন রোগে ভুগে একেবারেই চলে গেলেন তিনি।
রয়টার্স লিখেছে, বুধবার এই তারকার মারা যাওয়ার তথ্য পরদিন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছে তার পরিবার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আমেরিকান ফুটবলের এই তারকা খেলার মাঠের বাইরেও খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বহুবার। ১৯৯৪ সালে সাবেক স্ত্রী খুনের ঘটনার জড়িয়ে সবচেয়ে বড় বির্তক তৈরি করেছিলেন।
১১ মাস বিচার শেষে পরের বছর এ হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। আলোচনার জন্ম দেওয়া ওই রায়ে তিনি খালাস পেয়েছিলেন।
রয়টার্স লিখেছে, আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ওই সময় সিম্পসনের মামলার বিচারকে ‘শতাব্দীর সেরা বিচার’ হিসেবে প্রচার করে।
তবে দুই বছর পরে এনএফএল তারকা সিম্পসন নিহত সাবেক স্ত্রী নিকোল ব্রাউন সিম্পসনের বাবার দায়ের করা দেওয়ানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। নিকোল ব্রাউন ও তার বন্ধু রোনাল্ড গোল্ডম্যানকে ১৯৯৪ সালের ১২ জুন রাতে লস অ্যাঞ্জেলসে ব্রাউনের বাসার বাইরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সাবেক স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১১ মাসের বিচার শেষে তিনি খালাস পেয়ে কারাবাস এড়াতে পারলেও পরে দীর্ঘ কারাভোগ করতে হয়।
ফুটবলার থেকে অভিনয়ে খ্যাতি পাওয়া এই তারকা ২০০৮ সালে লাস ভেগাসে সশস্ত্র ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নেভেদায় ৯ বছর কারাবাস করেন। ওই মামলায় দোষী প্রমাণ হলে ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়। পরে প্যারোলে ছাড়া পান।
ডাক নাম ‘জুস’ নামে পরিচিতি পাওয়া সিম্পসন ষাট ও সত্তরের দশকের সেরা ও সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। সান ফ্রান্সিকোতে জন্ম নেওয়া এই তারকা ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপ্রিয় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। এনএফএলে রেকর্ড গড়া ক্যারিয়ারের পর তার নাম পেশাদার ফুটবলের হল অব ফেমে ওঠে। বাফেলো বিলস ও সান ফ্রান্সিকোতে তার ক্যারিয়ার ছিল ৪৯ বছরের।
পেশাদার লিগ থেকে ১৯৭৯ সালে অবসরের আগেই তিনি অভিনয়ে নাম লেখান। সেখানেও তারকা খ্যাতি পান তিনি। অভিনেতা ও সম্প্রচারক হিসেবে অকুণ্ঠ প্রশংসা লাভ করেছেন। টাওয়ারিং ইনফারনো (১৯৭৪), ক্যাপরিকন ওয়ান (১৯৭৭), দ্যা ন্যাকেড গান সিনেমায় তার অভিনয় নজর কাড়ে সবার। তবে সবকিছু বদলে যায় ১৯৯৪ সালের জুনে প্রাক্তন স্ত্রী খুনের ঘটনার পর।