কেয়ন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি শহরের ওই সেতুটি থেকে জান্তা বাহিনীর প্রায় ২০০ সেনা পালিয়ে গেছে।
Published : 11 Apr 2024, 02:47 PM
জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এক শহরকে সংযুক্ত করা একটি সেতুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার কেয়ন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি শহরের ওই সেতুটি থেকে জান্তা বাহিনীর প্রায় ২০০ সেনা পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের সেনাশাসিত সরকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। জান্তা বাহিনী সীমান্ত অঞ্চলের অনেকগুলো লড়াইয়ে পরপর পরাজয় বরণ করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মায়াওয়াদ্দি শহরটি থাইল্যান্ডের ম্যা সো শহরের নিকটবর্তী। এখান থেকে জান্তা বাহিনী পিছু হটায় তারা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই সীমান্ত ক্রসিং থেকে যাওয়া মহাসড়ক মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে সংযুক্ত।
মায়াওয়াদ্দিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে জান্তা বিরোধী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) । বৃহস্পতিবার কেএনইউয়ের মুখপাত্র স তাও নি জানান, পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ সেনা থাইল্যান্ডের সীমান্ত ক্রসিংয়ে জড়ো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত থিত জানিয়েছে, মিয়ানমারের পালিয়ে আসা সেনাদের আশ্রয় দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে থাই কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছে।
এ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের করা অনুরোধে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্র সাড়া দেননি।
গত সপ্তাহে কেএনইউ জানিয়েছিল, তাদের যোদ্ধারা মায়াওয়াদ্দির কাছে জান্তা বাহিনীর একটি শিবিরে আক্রমণ চালিয়েছিল, তখন সেখানে থাকা ৬০০ সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
মায়াওয়াদ্দিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই শুরু হওয়ার পর নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। সেখানে মেশিনগান বসানো সামরিক যান মোতায়েন করেছে তারা।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬২ সাল থেকে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। তারপর থেকে বর্তমানে দেশটির সামরিক বাহিনী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকার দেশজুড়ে বিভিন্ন বাহিনীর বিদ্রোহ মোকাবেলা করছে, পাশাপাশি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের জান্তা শাসকরা শক্তি হারাচ্ছে: থাই প্রধানমন্ত্রী