জান্তা বাহিনীর বহু সেনাকে আটকের দাবি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের

জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এক সমন্বিত আক্রমণে এ সাফল্য এসেছে বলে আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2023, 08:32 AM
Updated : 15 Nov 2023, 08:32 AM

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াইরত আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে, পাশাপাশি বেশ কিছু সেনাকে আটক করা হয়েছে।

জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এক সমন্বিত আক্রমণে এ সাফল্য এসেছে বলে বুধবার এএ জানিয়েছে। 

তারা জানায়, আক্রমণের মুখে অন্তত ২৮ জন পুলিশ সদস্য তাদের অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করেছে আর একই সময় ১০ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেছে। এরই মধ্যে এই জোট কয়েকটি ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে নিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে। এএ এই জোটের অন্যতম অংশ।

তবে এএ এবার যে দাবি করেছে তা রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়েতে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং শহরটিতে সামরিক ট্যাংক দেখা গেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

বিদ্রোহীরা জোটগতভাবে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করায় ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তা সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়েছে।

জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেছেন, “বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো পুরো দেশকে ধ্বংস করছে।”

বিদ্রোহীদের সামরিক পোস্ট দখলের দাবিকে ‘প্রপাগান্ডা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “শক্ররা তাদের সেনা হারানো পর পিছু হটেছে। কৌশলগত কারণে আমরা ছোট ছোট পোস্টগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি।”

জাও জানান, শান, রাখাইন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই চলছে। জান্তা বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, এমন প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।  

মিয়ানমারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যেও লড়াই চলছে। সেখানে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে মিয়ানমারের ৪৩ সেনা সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ঢুকে পড়ে, মিজোরামের এক পুলিশ কর্মকর্তা এমনটি জানিয়েছেন।

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ করা অধিকাংশ সেনাকে হেলিকপ্টার যোগে উড়িয়ে নিয়ে সীমান্তের আরেকটি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Also Read: ভারতের সঙ্গে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা