চীনের ৪টি যুদ্ধজাহাজ ওই এলাকায় যুদ্ধ প্রস্তুতিমূলক টহলও দিয়েছে, বলেছে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 11 Jun 2023, 01:51 PM
চীনের ১০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করছে দেখতে পেয়ে তাইওয়ানের বিমানবাহিনীও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ওই এলাকায় তড়িঘড়ি জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছে।
রোববার এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাইওয়ানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চীনের ৪টি যুদ্ধজাহাজ ওই এলাকায় যুদ্ধ প্রস্তুতিমূলক টহলও দিয়েছে, বলেছে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাইওয়ান তাদের আশপাশে চীনের নতুন সামরিক কার্যকলাপের খবর দিল। এর আগে বৃহস্পতিবার চীনের ৩৭টি সামরিক উড়োজাহাজ স্বশাসিত দ্বীপটির আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে, পরে তার মধ্যে কয়েকটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে যায়।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের ভূখণ্ড মনে করে চীন। গত তিন বছর ধরে বেইজিংয়ের বিমানগুলোকে নিয়মিতই স্বশাসিত দ্বীপটির আশপাশ দিয়ে উড়তে দেখা গেছে, তবে সেগুলো কখনোই তাইওয়ানের মূল আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি।
রোববার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুপুর ২টার দিকে তারা তাদের কাছাকাছি এলাকায় জে-১০, জে-১১, জে-১৬, সু-৩০ ও এইচ-৬ বোমারু বিমানসহ চীনা বিমানবাহিনীর ২৪টি উড়োজাহাজ দেখতে পায়।
এগুলো কোন পাশ দিয়ে উড়ে গেছে তা না বললেও বিমানগুলোর মধ্যে ১০টি তাইওয়াণ প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করে, বলেছে তারা।
এ মধ্যরেখাকে অনেকেই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার অঘোষিত সীমানা মনে করলেও বেইজিং বলেছে, তারা এই রেখাকে মানে না। গত বছর তাদেরকে নিয়মিতই এই মধ্যরেখা অতিক্রম করতে দেখা গেছে।
চারটি চীনা নৌযানও ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতির টহলে’ অংশ নিয়েছে, বলেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান জঙ্গিবিমান পাঠায় এবং নজর রাখতে জাহাজ ও ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা মোতায়েন করে, বলেছে তারা।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সফরের প্রতিক্রিয়ায় এপ্রিলে চীন তাইওয়ানের আশপাশে যুদ্ধ মহড়া করেছিল।
তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি খারিজ করে দিয়ে তাইওয়ানের সরকার বলছে, দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন।