ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানালেন মাইক পেন্স

একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট যে প্রেসিডেন্টের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল।

রয়টার্সবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2023, 05:24 PM
Updated : 7 June 2023, 05:24 PM

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার প্রতি অটল আনুগত্য দেখালেও এবার প্রাক্তন বসকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসেছেন মাইক পেন্সে।

বুধবার তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সামিল হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।

এক ভিডিও বার্তায় পেন্স বলেন, ‘‘একটি শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ আমেরিকার জন্য আমরা একসাথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তার জন্য আমি সর্বদা গর্বিত থাকবো।”

একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট যে প্রেসিডেন্টের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল।

অবশ্য মনোনয় পেতে হলে পেন্সকে পাহাড় ডিঙ্গাতে হবে।

মে মাসে রয়টার্স/আইপিএসওএস এর জনমত জরিপে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্পের চেয়ে ৪৪ পয়েন্ট পেছনে পেন্সকে পাওয়া গেছে।

বুধবার ছিল পেন্সের ৬৪তম জন্মদিন। মনোনয়নের জন্য ট্রাম্প ছাড়াও তাকে অন্তত ১০ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প এবং ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চার বছরে তার একাধিক কেলেঙ্কারিতেও তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত দেখা যায়নি পেন্সকে। তিনি সব সময় ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলে গেছেন।

কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের পর ট্রাম্পর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের জয়কে তিনি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন।

তখন পেন্স বলেছিলেন, নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার সাংবিধানিকভাবে তাকে দেওয়া হয়নি।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চলায়। যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলে বিবেচিত হয়।

বুধবার নিজের ভিডিও বার্তায় পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের চলমান মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন সংকট এবং মন্দায় পড়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি রাশিয়া ও চীনের নেতাদের ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ও গণতন্ত্রের শত্রুদের অগ্রযাত্রা এখন সারা বিশ্বেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।

‘‘আমেরিকার নিরবিচ্ছিন্ন মূল্যবোধগুলো এতটা বিপর্যয়ের মুখে কখনো ছিল না।”