উভয় পক্ষের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে মিত্রতা জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
Published : 26 Jun 2023, 03:43 PM
মিশরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাষ্ট্রীয় সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে মিত্রতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোববার উভয় দেশ একথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মিশরে প্রথম সফরে মোদী দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে জানুয়ারিতে সিসি রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। তখন দুই দেশের মধ্যে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করা হয়েছিল।
রোববার উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্য প্রযুক্তি ও ওষুধ শিল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মোদীর দপ্তর জানিয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী (মোদী) ও প্রেসিডেন্ট সিসি জি২০-তে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ এর জন্য একটি সমন্বিত কণ্ঠস্বর প্রয়োজন বলে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন।”
বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা মিত্রতা জোরদারের বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে বলে ভারতীয় দপ্তরটি জানিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে হিমশিম খেতে থাকা ও বিদেশি মুদ্রার মারাত্মক সংকটে থাকা মিশরকে রুপিতে কেনাকাটা করতে এবং গ্যাস ও সারের মতো পণ্য বিনিময় করার অনুমোদন দেওয়ার একটি প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে ভারত।
তবে রোববারের বিবৃতিগুলোতে এ প্রস্তাবের কোনো উল্লেখ ছিল না।
ভারতকে মিশরের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী হিসেবে দেখা হচ্ছে, অংশত সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে যাতায়াতকারী তাদের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
গত অর্থবছরে ভারত মিশরে ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে আর আমদানি করেছে ১৯৫ কোটি ডলারের পণ্য।
কায়রোতে দুই দিনের এই সফরে মোদী ১১শ শতাব্দীতে নির্মিত আল হাকিম মসজিদও পরিদর্শন করেছেন। বোহরা মুসলিম সম্প্রদায় এই মসজিদটি সংস্কার করেছিল। মোদীর নিজ রাজ্য গুজরাটে শিয়াদের এই শাখা সম্প্রদায়টির বড় ধরনের উপস্থিতি আছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদীর সরকারি পরিদর্শনে মসজিদে যাওয়ার ঘটনা বিরল।