চলতি মাসের প্রথমদিকে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে থাই সীমান্তের বাণিজ্যিক শহর মায়াওয়াদ্দির দখল নিয়েছিল বিদ্রোহী কেএনইউ এর যোদ্ধারা।
Published : 24 Apr 2024, 02:59 PM
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সেনাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে থাইল্যান্ড সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) ।
চলতি মাসের প্রথমদিকে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে কেয়ন রাজ্যের সীমান্তবর্তী বাণিজ্যিক শহর মায়াওয়াদ্দির দখল নিয়েছিল কেএনইউ এর যোদ্ধারা। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে শহরটিতে থাকা অধিকাংশ সরকারি সেনা তখন আত্মসমর্পণ করেছিল আর বাকিরা পালিয়ে গিয়েছিল।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিতে বার্ষিক এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
বুধবার কেএনইউ এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জান্তা সেনারা ফিরে আসার পর তাদের যোদ্ধারা মায়াওয়াদ্দি শহর থেকে ‘অস্থায়ীভাবে পশ্চাদপসরণ’ করেছে।
মুখপাত্র সাও তাও নি বলেন, “জান্তা সেনারা অগ্রসর হয়ে মায়াওয়াদ্দি শহরে প্রবেশ করেছে। কেএনএলএ-র সেনারা তাদের ও তাদের পেছনে থাকা সেনাদের ধ্বংস করে দেবে।”
কেএনএলএ বা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি কেএনইউয়ের সশস্ত্র শাখা। কেএনএলএ মিয়ানমারের সবচেয়ে পুরনো বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর একটি।
শনিবার মিয়াওয়াদ্দিতে দুইপক্ষের মধ্যে ফের তীব্র লড়াই শুরু হয়। এ সময় একদিনে শহরটির প্রায় ৩০০০ বেসামরিক বাসিন্দা পালিয়ে যায়। বিদ্রোহীরা মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে সংযোগকারী একটি সীমান্ত সেতুতে আটকা পড়া সরকারি সেনাদের হটিয়ে দিতে আক্রমণ শুরু করেছিল।
কিন্তু বাইরে থেকে আসা সরকারি বাহিনীর অতিরিক্ত সেনারা স্থানীয় একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সহায়তা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে শহরটিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
বুধবার থাইল্যান্ড জানায়, সেখানে লড়াই অনেকটা থেমে এসেছে এবং তারা সীমান্ত ক্রসিংটি আবার খুলতে পারবে বলে আশা করছে; ইতোমধ্যেই সীমান্ত বাণিজ্যের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেশটির জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বেসামরিক শহরটিতে ফিরে গেছে, শুধু ৬৫০ জনের মতো এখনও থাই সীমান্তের ভেতরে রয়ে গেছে।
এক ব্রিফিংয়ে থাই মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালাঙ্কুরা বলেন, “পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তারপরও আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, যে কোনো সময় তা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।”
আরও খবর:
লড়াইয়ের পর থাই সীমান্ত সেতুর নিয়ন্ত্রণ হারাল মিয়ানমার বাহিনী