রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, যুক্তরাজ্যের দূতাবাসকর্মীর ১৩ বছরের কারাদণ্ড

সাজা পাওয়া ডেভিড বাল্লান্তিনে স্মিথ বার্লিনে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।

রয়টার্স
Published : 17 Feb 2023, 12:42 PM
Updated : 17 Feb 2023, 12:42 PM

রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে দোষীসাব্যস্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে লন্ডনের একটি আদালত।

সাজা পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ডেভিড বাল্লান্তিনে স্মিথ, বয়স ৫৮ বছর। তিনি জার্মানির বার্লিনে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে কাজ করতেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সেখানে তিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য চুরি করেছেন। যেসব তথ্যের মধ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ‘গোপন সরকারি যোগাযোগ’ এবং অন্যান্য সংবেদনশীল নথি রয়েছে।

শুক্রবার রায় ঘোষণার সময় বিচারক মার্ক ওয়াল বলেন, যেসব অপরাধ কাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে স্মিথকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর সবই ২০২০ ও ২০২১ সালের।

‘‘কিন্তু তার নশকতামূলক কর্মকাণ্ড আরো দুই বছর আগে থেকে শুরু হয়েছিল।”

স্মিথ স্বীকার করেছেন, তিনি বার্লিনে রাশিয়ার দূতাবাসে কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে দুইটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেগুলোতে সংবেদনশীল রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।

বিচারক ওয়াল তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে, ২০২০ সালের কোনো এক সময়ে আপনি রাশিয়ার দূতাবাসে কারও সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে গেছেন।

‘‘আপনার এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য রাশিয়া আপনাকে অর্থ দিয়েছে।”

অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট এর অধিনে গত বছর নভেম্বরে স্মিথকে আটটি অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করা হয়।

এ সপ্তাহের শুরুতে স্মিথ আদালতকে বলেছিলেন, তিনি যা করেছেন যেজন্য নিজের প্রতি তার ‘ঘৃণা হচ্ছে এবং এ কাজের জন্য তিনি লজ্জিত’।

সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি গোপন তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেন।

বলেন, ‘‘আমি সাত বোতল বিয়ার পান করে সংবেদনশীল নথির ভিডিও সংগ্রহ করা শুরু করি। ওই সময় এটা আমার কাছে দারুণ কিছু মনে হয়েছিল।”

সে সময় তিনি আরো দাবি করেছিলেন যে, তিনি ওই সব নথি কাউকে দেননি। কারণ, তিনি জানতেন ‘ওইসব তথ্য অন্যকারো হাতে পড়লে তা যুক্তরাজ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে’।

স্মিথের এই ‘অনুশোচনাকে বিচারক কুমিরের কান্না’ বলে বাতিল করে দিয়েছেন। বিচারক বলেন, ‘‘আপনার অনুশোচনা আত্ম-করুণা ছাড়া আর কিছু নয়।”