বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিতর্কিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ- বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিল কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দিচ্ছেন।
নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকারের শরিকদল জুইশ পাওয়ার পার্টি জানিয়েছে, সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়া আগামী মাসের পার্লামেন্ট অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনে বিচারব্যবস্থা সংস্কার বিল আলোচনার মধ্য দিয়ে পাস করানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার উপলক্ষে ছুটির কারণে আগামী সপ্তাহ থেকে পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি থাকবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নেতানিয়াহুর বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে গভীর সংকটে পড়েছে ইসরায়েল। পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে রাজপথ, সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন।
সোমবার রাজধানী তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। পার্লামেন্টেও সংসদীয় কমিটির আলোচনায় ক্ষমতাসীন দলের ওপর চড়াও হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সোমবার আলোচনায় বসেছিল ইসরায়েলের সংসদীয় কমিটি। এরপরই সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পার্লামেন্ট থেকে রাজপথ পর্যন্ত বিতর্কিত সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলিরা। সোমবার সকালে জাতীয় টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে তাও বন্ধ করা হয়।
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর-ডানপন্থি সরকার চাইছে বিচারক নিয়োগ কমিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করায়ত্ব করতে।
নেতানিয়াহু বলছেন, বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হলে আদালতকে এর এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া থেকে বিরত করা যাবে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এ পদক্ষেপ নেতানিয়াহুর জন্য সহায়ক হবে। কারণ, তিনি দুর্নীতির দায়ে বিচারের মুখে আছেন।