এই ডিজিজ এক্স কোভিডের চেয়েও প্রাণঘাতী মহামারী ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Published : 14 Jan 2024, 08:23 AM
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভাব দুর্বল হয়ে এলেও আরেকটি মহামারীর আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন যে সংক্রমণ এ মহামারী ঘটাতে পারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তার নাম দিয়েছে ‘ডিজিজ এক্স’। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডিজিজ এক্স কোভিডের চেয়েও প্রাণঘাতী মহামারী ডেকে আনতে পারে।
‘ডিজিজ এক্স’ নিয়ে যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের সাবেক প্রধান ডেম কেট বিংহাম ডেইলি মেইলকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নতুন ভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ১৯১৮-১৯ সালের স্পেনিশ ফ্লুর মতোই হতে পারে। এই ফ্লু তে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যেখানে কোভিড মহামারীতে মৃত্যু এখনও ৭০ লাখ ছাড়ায়নি।
কোন প্যাথোজেন বা জীবাণুর কারণে এই রোগ সৃষ্টি হবে, তা এখনও অজানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই প্যাথোজেন কোনো ভাইরাস যেমন হতে পারে, তেমনই আবার ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৫টি ভাইরাস গোত্রের অস্তিত্ব বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন। তবে অনাবিষ্কৃত আরও ১০ লাখেরও বেশি ধরনের ভাইরাস থেকে থাকতে পারে। যেগুলো এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়িয়ে যেতে পারে।
ডিজিজ এক্স হতে পারে হামের মতো সংক্রামক এবং এতে মৃত্যুর হার হতে পারে ইবোলা সংক্রমণে মৃত্যুর হারের মতো, বলছেন বিংহাম।
বর্তমানে বিশ্বে মহামারী কেন বাড়ছে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি; বলেছেন, “আধুনিক বিশ্বে বাস করারই মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদেরকে। প্রথমত, বিশ্বায়নের মাধ্যমে ক্রমাগতই একে অপরের কাছাকাছি আসা। দ্বিতীয়ত, বেশি বেশি মানুষের শহরমুখী হওয়া। সেখানে তারা অন্যান্যদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসছে অহরহই।”
নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, জলাভূমি ধ্বংসের ফলে প্রাণীদের কাছ থেকে মানুষের দূরত্ব কমে যাচ্ছে। এতে প্রাণীদেহের ভয়ংকর ভাইরাসগুলো মানুষের সমাজেও ছড়িয়ে পড়ে মহামারীর হুমকি সৃষ্টি করছে।
বিংহাম মনে করেন, নতুন মহামারী থেকে বাঁচতে টিকার উপরই জোর দিতে হবে। খুব দ্রুতই গণহারে টিকাদানের জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত হতে হবে। সংবাদ সূত্র: এনডিটিভি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)