“আমাদের মধ্যে একটা বদ্ধ ধারণা কাজ করে যে হরমোন ক্ষতিকর। আর এ কারণেই মেনোপজের চিকিৎসা হচ্ছে না।”
Published : 24 Jan 2024, 11:54 AM
মেনোপজ চলছে এমন নারীদের অনেকেই ‘বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে’ কার্যকর চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
গত সপ্তাহে সেল জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যাচাই দলের প্রধান অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুসান ডেভিস বলছেন, মেনোপজের শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ অনুসারে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিকল্পনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
২০০২ সালে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে এক জরিপে মেনোপজের সময় হরমোন থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। সে প্রসঙ্গ ধরে ডেভিস বলেন, “আমাদের মধ্যে একটা বদ্ধ ধারণা কাজ করে যে হরমোন ক্ষতিকর। আর এ কারণেই মেনোপজের চিকিৎসা হচ্ছে না।”
মেনোপজের সময় স্বাস্থ্য জটিলতায় যারা সবচেয়ে বেশি ভোগেন, তারাই ঠিকমত চিকিৎসা পান না; আর একেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ডেভিস।
গত ৭১ বছরের দুই শতাধিক প্রতিবেদন ঘেঁটে এই গবেষক দল বলছে, ধনী দেশগুলোর ৮৫ শতাংশের বেশি নারী তাদের মেনোপজে যথাযথ ও অনুমোদিত চিকিৎসা পান না।
ডেভিস বলেন, “মধ্যবয়সী নারীদের জন্য এই সময়টা সহজ নয়। জীবনের অনেক কিছুতে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয় তাদের। এর সঙ্গে যোগ হয় ঘুমের ব্যাঘাত, হট ফ্ল্যাশ, রাতে ঘেমে যাওয়া, অস্থিরতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, জননাঙ্গে শুষ্কতা। আর এ কারণে সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেও অনীহা দেখা দেয়, কারণ তাতে ব্যথা অনুভব হয়।
“এই সব উপসর্গই চিকিৎসায় সারিয়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু নারীর তো চিকিৎসা হচ্ছে না। ফলে জীবনের গুণগত মান কমে যাচ্ছে।”
মেনোপজে এসে পৌঁছেছেন এমন ৩০ শতাংশ নারীর বেলায় মাঝারি থেকে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় শরীরে নানা পরিবর্তন নীরবে ঘটে যায়। যেমন হাড় ক্ষয়। তাই মেনোপজের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে চলেছেন এমন সবার শারীরিক পরীক্ষা করানোর ওপর জোর দিচ্ছেন ডেভিস।
তবে এই গবেষণার তথ্য-উপাত্ত মূলত পশ্চিমা দেশে বাস করা নারীদের জানিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির অধ্যাপক রডনেই বাবের পরামর্শ দেন, “এ গবেষণার জন্য অন্যান্য দেশে বাস করা নারীদের তথ্যও সংগ্রহ করাও জরুরি ছিল।” সংবাদসূত্র: গার্ডিয়ান
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)