মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সফরে ‘গঠনমূলক অগ্রগতি’ হয়েছে উল্লেখ করে চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সফর দুই দেশের জন্যই শুভ।
Published : 07 Apr 2024, 06:14 PM
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এর মধ্যে রোববারের বৈঠকে শোনা গেছে আশাবাদের সুর।
বৈঠকের শুরুতেই লি কিয়াং বলেন, দুই দেশ একে অপরের প্রতিপক্ষ নয় বরং অংশীদার হওয়া উচিত এবং একে অপরকে সম্মান করা উচিত।
ওদিকে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক সরাসরি ও খোলামেলা যোগাযোগের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে পারে।
চীন সফর করছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন। শনিবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংঝু থেকে রাজধানী বেইজিংয়ে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী লি’র সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইয়েলেনের এই সফরে ‘গঠনমূলক অগ্রগতি’ হয়েছে বলে লি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সফর দুই দেশের জন্যই শুভ।
অন্যদিকে, ইয়েলেন বলেন, “বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার জটিল সম্পর্ক ঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের রয়েছে।
“আমি বিশ্বাস করি, গত এক বছরে আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। তার মানে এই নয় যে, আমাদেরকে নিজেদের মধ্যকার মতভেদ এবং কঠিন আলাপ-আলোচনা এড়িয়ে চলতে হবে। এ আলোচনার মানে হচ্ছে একটা বোঝাপড়া যে, আমরা একে অপরের সঙ্গে সরাসরি ও খোলামেলা যোগাযোগ রেখে চললেই কেবল এগিয়ে যেতে পারব।”
দুই দেশের মধ্যকার কঠিন আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গত এক বছরে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে। তাই দু’দেশেরই এই কঠিন আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে ইয়েলেন উল্লেখ করেন।
৯ মাসের মধ্যে জেনেট ইয়েলেন এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফর করছেন।
সফরকালে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লাইফেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ভারসাম্যপূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে একটি সংলাপ শুরু করতে একমত হয়েছেন ইয়েলেন। আমেরিকান কর্মী এবং ব্যবসার সুরক্ষায় চীনের সঙ্গে ষুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
চীনের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইয়েলেন।যুক্তরাষ্ট্র এই উৎপাদন ক্ষমতাকে ঝুঁকি হিসাবেই দেখে। সস্তা পণ্যের উদ্বৃত্ত হিসাবে যা অন্যত্র হওয়া উৎপাদনের জন্য হুমকি বলেই মনে করে তারা।
ইয়েলেন বলেন, “বিশ্বের দুই বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসাবে আমাদের নিজ নিজ দেশ এবং বিশ্বের জন্যও আমাদের কর্তব্য হল, দায়িত্ববোধের সঙ্গে আমাদের জটিল সম্পর্ক সামলে চলা এবং বৈশ্বিক চ্যালঞ্জগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা এবং নেতৃত্ব দেখানো।”