যৌন সহিংসতা ও নারী অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ী দুই রুশ কমান্ডারসহ ৯ জন এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যৌন সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এটিই ইইউ এর প্রথম নিষেধাজ্ঞা।
মানবাধিকারের অপব্যবহারকারীদের সাজা দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে ইইউ যে এখতিয়ার পেয়েছিল তার আওতায়ই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্লকটি।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও আছে- মস্কোর দুই পুলিশ সদস্য, দুই তালেবান কর্মকর্তা, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানের কর্মকর্তারা। ইইউ নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রকাশ করার আগেই বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেটি দেখেছে বলে জানিয়েছে।
তালিকায় আছে ইরানে নারীদের ঘারচাক কারাগারও। কালো তালিকাভুক্ত হওয়াদের কারও নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি ইইউ। তবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দিনশেষেই ইইউ’র এর অফিসিয়াল জার্নালে তালিকায় থাকা সবার পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওপকে হোয়েকস্ট্রা বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমরা অপরাধীদেরকে পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছি যে, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এই ভয়াবহ অমানবিক কাজের পরিণতি আছে। আর এটি ভুক্তভোগীদের কাছেও একটি বার্তা: আপনারা বিশ্বের যেখানেই থাকুন, ইইউ আপনাদের সমর্থন করবে।”
নিষেধাজ্ঞা কবলিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কোনও সম্পদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে থাকলে তা জব্দ করা হবে। তাদের ইউরোপ সফরও থাকবে নিষিদ্ধ। তাছাড়া, নিষেধাজ্ঞা কবলিত কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইউরোপের কোনও কোম্পানি সেবা দিতে পারবে না।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দুই রুশ কমান্ডার হচ্ছেন, ইউক্রেইনে লড়াই করা নিকোলাই কুজনেৎসোভ ও রামিল ইবাতুলিন।
কুজনেৎসোভের সেনা ইউনিট ২০২২ সালের মার্চ/এপ্রিলে ইউক্রেইনে ধারাবাহিকভাবে যৌন সহিংসতা এবং ধর্ষণ চালিয়ে এসেছে এবং ইবাতুলিনের ব্যাটেলিয়নের সেনারাও ইউক্রেইনের সাধারন মানুষদের ওপর যৌন সহিংসতা এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইইউ এর নথিতে।