সাজা কমাতে করা এই আপিলের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত দুই মাসের মধ্যেই তাদের রায় দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Published : 06 Jul 2023, 01:45 PM
দুর্নীতি, নির্বাচনে জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে যে ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন, তা কমাতে আপিল করেছেন মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।
দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সেই আপিলগুলো শুনছে; বুধবার তার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মামলা সংক্রান্ত এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সু চিকেও গ্রেপ্তার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে ভোটে জালিয়াতি, দুর্নীতি, অবৈধ কর্মকাণ্ডে উসকানিসহ অসংখ্য অভিযোগে মামলা হয়।
বুধবারের আপিল শুনানিতে ৭৮ বছর বয়সী সু চি উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে আইনজীবীরা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের লংঘন ও নির্বাচনী জালিয়াতি মামলায় দেওয়া সাজার বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি, সংবেদনশীল বিষয় হওয়ায় যিনি নিজের নাম পরিচয় প্রকাশে রাজি হননি।
সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের মধ্যেই আপিলের রায় দেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটি লিখেছে, আড়াই বছর আগের অভ্যুত্থান মিয়ানমারের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থাকে ওলটপালট করে দিয়েছে। সু চি এবং অন্য বিরোধীদের ওপর খড়্গহস্ত হওয়ায় দেশটির জান্তা সরকার বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখেও পড়েছে।
গণতন্ত্রপন্থি নেতাকর্মীদের গোপন বিচারে কারাদণ্ড দেওয়া এবং কয়েক দশকের বিরতির পর মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনায় সামরিক বাহিনীর সরকারের সমালোচনা করছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনও।
সেসব সমালোচনার প্রত্যুত্তরে সামরিক বাহিনী বলছে, স্বাধীন বিচারবিভাগ নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করছে, অভিযুক্তদের পর্যাপ্ত সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার এবং বাণিজ্য ও টেলিকম আইন লংঘনে সু চিকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তার বিরুদ্ধে হওয়া আপিল শুনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।