ইউক্রেইনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত-আইসিসি’র কৌসুলি ও বিচারকদের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি মামলা করল রাশিয়া।
রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি সোমবার এই মামলা করার কথা জানিয়েছে।
গুরুতর সব অপরাধ তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত এই কমিটি বলেছে, পুতিনের দিক থেকে অপরাধের দায় থাকার কোনও ভিত্তি নেই। তাছাড়া, রাষ্ট্রের প্রধানরা বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর বিচারব্যবস্থা থেকে পুরোপুরিই ছাড় পেয়ে থাকেন।
রাশিয়ার আইনের আওতায় আইসিসি কৌসুলিদের কার্যকলাপে অপরাধের আলামত দেখা গেছে জানিয়ে কমিটি বলেছে, “তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে জটিল করার মানসে জেনেশুনে একজন নির্দোষ মানুষকে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুরক্ষা পাওয়া বিদেশি রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধির ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
আইসিসির একজন বিচারক গত শুক্রবার ইউক্রেইনে যুদ্ধাপরাধ এবং শিশুদের ইউক্রেইন থেকে অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুতিনকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
সেখানে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রশিয়া ইউক্রেইনে পুরোদমে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটা বিশ্বাস করার ‘যৌক্তিক কারণ’ আদালতের আছে যে, পুতিন সরাসরি নিজে এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে এসব অপরাধে সম্পৃক্ত ছিলেন। যারা ওই শিশুদের রাশিয়ায় নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের তিনি থামাননি।
এরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া আইসিসি বিচারকদের বিরুদ্ধে মামলার ওই প্রতীকী পদক্ষেপ নিল।
ক্রেমলিন আইসিসির এই পদক্ষেপকে গর্হিত আখ্যা দিয়েছে। তবে আইনি দৃষ্টিকোণ থেকেও এ আদেশ কোনো অর্থ বহন করে না বলেও উল্লেখ করেছে। কারণ, রাশিয়া রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতেরও অংশীদার নয়।