“রাজতন্ত্রের প্রতি আমি অনুগত। কিন্তু আমার বিশ্বাস, না জানার চেয়ে জানা ভাল,” লিখেছেন তিনি।
Published : 23 Jan 2024, 01:26 AM
রাজার সমালোচনা বা রাজতন্ত্রের অবমাননার বিরুদ্ধে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কঠোর আইন থাইল্যান্ডে। এ আইনে বিচারের মুখে পড়া মানুষদের কাহিনী তুলে ধরে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত একটি প্রদর্শনীতে আকস্মিকভাবেই উপস্থিত হন থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর মেজ ছেলে ভাচারাইসর্ণ।
এর মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের এই নিষিদ্ধ বিষয়টি নিয়ে যেন প্রকাশ্যে কথা বলতে চাওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
থাইল্যান্ডে লেজ-মেজেস্টি (রাজতন্ত্র অবমাননা) আইন কেউ ভঙ্গ করলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আইনটির আওতায় রাজা বা রাজপরিবারের কোনো সমালোচনা করা যায় না; এমনকি কথা বলতে গেলেও নিতে হয় ঝুঁকি।
থাইল্যান্ডের ক্রিমিনাল কোড ১১২ অনুচ্ছেদের আওতায় এ অপরাধে অভিযুক্তদের সাজার বিধান আছে এবং গত কয়েক বছরে এই ধারায় শত শত মানুষের বিচারও হয়েছে। নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লিরয় নিমান আর্ট গ্যালারিতে এইসব মানুষদের নিয়েই আয়োজিত হয় ‘ফেইসেস অব ভিকটিমস অব ১১২’ শীর্ষক প্রদর্শনী।
থাই রাজতন্ত্রের স্পষ্টভাষী সমালোচক এক ভিন্নমতাবলম্বী পাভিন চাচাভালপংপুন এই প্রদর্শনী আয়োজন করেন। লেজ-ম্যাজিস্টি আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধেও আছে অভিযোগ।
থাই রাজার ছেলে ভাচারাইসর্ণ (৪২) নিউ ইয়র্কেই বাস করেন। সোমবার তিনি ওই প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন তার ফেইসবুক পেইজে।
তিনি সেখানে লেখেন, “রাজতন্ত্রের প্রতি আমি অনুগত। কিন্তু আমার বিশ্বাস, না জানার চেয়ে জানা ভাল। প্রতিটি মানুষেরই নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে নিজস্ব কিছু মতামত আছে। আমরা যদি তা নাও শুনি, তার মানে এই না যে তাদের কোনো মতামত থাকবে না। সুতরাং, বিভিন্ন পক্ষ থেকে তাদের দৃষ্টিকোণ এবং যুক্তি জানা এবং শোনাটাই ভালো।”
ভাচারাইসর্ন প্রায় ২৭ বছর পর প্রথম নিজের জন্মভূমি থাইল্যান্ডে ফেরার কয়েকমাস পর তাকে নিউ ইয়র্কের ওই প্রদর্শনীতে দেখা গেছে। সংবাদসূত্র: সিএনএন
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)