পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে: রাশিয়া

মস্কো কার্যত ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রকাশ্যেই সংঘাতের মধ্যে আছে বলে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ।

রয়টার্স
Published : 22 March 2023, 05:48 PM
Updated : 22 March 2023, 05:48 PM

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, কয়েক দশকের মধ্যে এখনই পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

মস্কো কার্যত ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রকাশ্যেই সংঘাতের মধ্যে আছে বলে বুধবার সতর্ক করেছেন তিনি।

দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার টানাপোড়েনের সম্পর্ক আরও খারাপ পর্যায়ে গেছে গত বছর ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে। ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ওয়াশিংটনের সঙ্গে কার্যকর থাকা সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিত করেছে।

চুক্তিটি স্থগিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যকার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ স্তম্ভ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

বিশ্বের পারমাণবিক ওয়ারহেডের প্রায় ৯০ শতাংশই আছে এই দুই দেশের হাতে- যা পৃথিবীকে বহুবার ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেস্ট।

‘এ ওয়ার্ল্ড উইদাউট স্টার্ট: ওয়াটস নেক্সট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াবকভ বলেন, আপাতত রাশিার এই চুক্তি পুনর্বহাল করার ‘প্রশ্নই নেই’।

মস্কোর প্রতি ওয়াশিংটনের বৈরি আচরণের সমালোচনা করেন তিনি। রিয়াবকভের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা। তিনি বলেছেন, “পারমাণবিক সংঘাত বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা আজ বেশি কিনা সে আলোচনায় আমি যাব না, তবে গত কয়েক দশকে সে সম্ভাবনা ছিল তার সবের তুলনায় এখন এই ঝুঁকি বেশি।”

রাশিয়া বিশ্বকে ‘নিরাপদ এবং মুক্ত’ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মস্কো কার্যত প্রকাশ্যেই সংঘাতে থাকায় পরিস্থিতি যথানিয়মে নাও চলতে পারে বলে সতর্ক করেন রিয়াবকভ।

ইউক্রেইন যুদ্ধের একবছর পার হয়েছে। ক্রেমলিন বারবারই ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলে আসছে যে, কিইভকে অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে অংশ নিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেইনে তাদের যুদ্ধকে টিকে থাকার লড়াই বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই পারমাণবিক যুদ্ধ কখনোই না লড়ার কথা বলে এসেছে। কিন্তু ইউক্রেইন যুদ্ধ রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।