ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িতরা এই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
Published : 19 Apr 2024, 12:01 AM
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রদপ্তরও ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িতদের পাশাপাশি ৭ ব্যক্তির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করছে।
ইরানের ওপর আগে থেকেই এই দুই দেশের আরোপিত শত শত নিষেধাজ্ঞা আছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলে ৩০০’রও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে।
শনিবার রাতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়। যদিও এ হামলায় ছোট্ট একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে এবং দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইরানের হামলার পর ইসরায়েল এর পাল্টা জবাবের হুমকির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সমর্থও চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিল ইসরায়েল।
এরপরই ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচির রাশ টেনে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ পদক্ষেপ নিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জি৭ জোটভুক্ত নেতারা একযোগে ইরানের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানি এবং স্টিল উৎপাদকদেরও নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তিনবছর আগে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় থেকেই ইরান-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আরোপ করা আছে ৬শ’রও বেশি নিষেধাজ্ঞা।
ওদিকে, ইরানের ওপর যুক্তরাজ্যেরও ৪০০ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে। সেই তালিকাতেই এবার যুক্ত হল বাড়তি নতুন নিষেধাজ্ঞা।