মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা বলে দাবি করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2023, 07:30 AM
Updated : 10 March 2023, 07:30 AM

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মুদ্রা পাচারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার কুয়ালা লামপুরের দায়রা আদালতে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মুহিউদ্দিন এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’মামলা বলে দাবি করেছেন।

মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে পরাজয়ের তিনমাসের মাথায় বৃহস্পতিবার মুহিউদ্দিন গ্রেপ্তার হন, দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে।

এই পদক্ষেপ ‘প্রতিশোধপরায়ণ’ এবং রাজনৈতিকভাবে মুহিউদ্দিনকে ‘দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা’ বলে দাবি করেছেন তার সমর্থকরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক উত্তেজনায় আরও ইন্ধন যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৭ মাস দেশ শাসন করা মুহিউদ্দিন মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় নেতা, ক্ষমতা হারানোর পর যার বিরুদ্ধে অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হল।

শুক্রবার কুয়ালা লামপুরের দায়রা আদালতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের ৪টি ও মুদ্রা পাচারের ২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

সব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মুহিউদ্দিন; এর আগে অভিযোগগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

মুদ্রা পাচারের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে, ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হলে হতে পারে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বিপুল পরিমাণ জরিমানা।

আদালত শুক্রবার মুহিউদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করে তাকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলছেন, মুহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির তদন্তে তিনি হস্তক্ষেপ করেননি এবং পুরো ব্যাপারটাই তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জেতার পরপরই আনোয়ার কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচিসহ মুহিউদ্দিনের অনুমোদন দেওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সরকারি প্রকল্প পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এসব প্রকল্পে মুহিউদ্দিনের সরকার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।