Published : 10 Mar 2025, 04:01 PM
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার দ্রুজ কর্মীদেরকে সিরীয় ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা গোলান মালভূমিতে যেতে দেবে।
রোববার তারা এ কথা জানালেও তেল আবিব ঠিক কবে থেকে দ্রুজদের গোলানে যাওয়ার পাস বা অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু করবে তা বলেনি তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, গোলান মালভূমি ২৪ হাজার দ্রুজের আবাসস্থল। আরবের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইসলামের একটি অপ্রচলিত ধারার চর্চা করে। সিরিয়ার পাশাপাশি ইসরায়েল, লেবানন ও জর্ডানেও এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের দেখা যায়।
১৯৬৭ সালে হওয়া ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মালভূমিটির বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়; ১৯৮১ সালে তেল আবিব তার দখলকৃত ভূমি আরও বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্র এই গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবেই দেখে। তবে বেশিরভাগ দেশ একে ইসরায়েলের দখলে থাকা সিরিয়ার অংশ বলেই মনে করে।
সিরিয়ার সিংহভাগ দ্রুজই দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত। সিরীয় দ্রুজদের অনেক পরিবারের আত্মীয়স্বজনই গোলান মালভূমিতে থাকে।
সিরিয়ার নতুন শাসকদের হুমকি হিসেবে দেখা ইসরায়েলের সরকার এখন বলছে, তারা দ্রুজসহ সিরিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তেল আবিব এরই মধ্যে আসাদ পরবর্তী সিরিয়ার কৌশলগত অনেক অস্ত্রগুদাম ও সামরিক অবকাঠামোতে কয়েকশ হামলা চালিয়েছে।
যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে তারা যেন এসব অস্ত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যই এ ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে, বলেছে তারা।
আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের অনেকগুলো গোষ্ঠীই বেড়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার ছাতার তলে। এটাও ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের, মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।