ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন এবং তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
Published : 24 Aug 2023, 09:21 PM
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন যদি সত্যিই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন এবং তার ভাড়াটে সেনাদলের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে গিয়ে পড়ে তবে দলটি আগের থেকেও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে মনে করেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়ার তিভিয়ের অঞ্চলে বুধবার বিধ্বস্ত একটি বিমানে যাত্রী তালিকায় দেশটির ভাড়াটে সেনাদের দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিনের নাম ছিল। বিধ্বস্ত ওই বিমানের সব আরোহী মারা গেছেন, এমনটা দাবি করেছেন রাশিয়ার বেসামরিক বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রিগোজিনের সঙ্গে তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিনও ওই বিমানে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
যদিও ঘটনার একদিন পরও প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েস্কি বলেন, “ওয়াগনার গ্রুপ পুতিনের নেতৃত্বে। প্রত্যেকে নিজের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর দিন..হুমকি বাড়বে নাকি কমবে? আমার জন্য এই প্রশ্নটি বেশ নাটকীয়।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্রদের একজন ছিলেন প্রিগোজিন। ২০২২ সালে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর প্রিগোজিনের বেসরকারি সামরিক কোম্পানি যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
কিন্তু চলতি বছরের জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে প্রিগোজিন তার সেনাদের মস্কো যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এতে পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়। প্রিগোজিনের ওই বিদ্রোহের আয়ু ছিল একদিন।
প্রিগোজিনের বিমান বিধ্বস্ত: যা যা জানা গেছে
ওই বিদ্রোহের পর পুতিন ওয়াগনার গ্রুপ কে রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করে বেলারুশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশ মেনে ওয়াগনার যোদ্ধারা বেলারুশে চলেও যায়। কিন্তু পুতিন যে সহজে নিজের অপমান ভুলবেন না এবং ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ ক্ষমা করবেন না তা জানা কথাই ছিল।
ওয়ানগার গ্রুপ বেলারুশে ঘাঁটি গাড়ার পর ঘুম উড়ে যায় প্রতিবেশী পোল্যান্ড সরকারের। ওয়াগনার হামলা করতে পারে এই আশঙ্কায় তারা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপের ভূরাজনীতি উত্তপ্ত ছিল। নানা গুঞ্জন বাতাসে উড়ছিল।
এর মধ্যেই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবর এলো।
ওয়াগান গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ওই বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে; যদিও তারা তাদের দাবির বিষয়ে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।