আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে জাতীয় নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে আগামী চার বছর চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হতে চলেছে।
Published : 01 Jan 2024, 07:01 PM
তাইওয়ান ‘নিশ্চিয়ই চীনের সঙ্গে একত্রিত হবে’। দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আবারও দৃঢ়ভাবে নিজের এই প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সামনেই তাইওয়ানে জাতীয় নির্বাচন। আগামী চার বছর চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক কেমন হতে চলেছে তা ১৩ জানুয়ারির ওই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। নির্বাচনকে মাথায় রেখে তাইওয়ান প্রাণালী ঘিরে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরাল করেছে চীন।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ ঘোষণা করলেও চীন তাদের সেই দাবি মানে না। বরং তাইওয়ানকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে, যারা একদিন অবশ্যই পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।
বিবিসি জানায়, গতবারও নতুন বছরের বার্তায় চীন-তাইওয়ান একত্রীকরণের কথা বলেছিলেন শি। তবে সেবারের তুলনায় এবার তার কণ্ঠ অধিক জোরাল ছিল। গতবার তিনি তাইওয়ানের জনগণকে ‘একই পরিবারের অংশ’ বলেছিলেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের মত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টও দেশবাসীর উদ্দেশে নতুন বছরের বার্তা দিয়েছেন। যেখানে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক কেমন হবে সেটা ঠিক করার ‘অধিকার একমাত্র তাইওয়ানের জনগণের আছে এবং তারাই সেটা ঠিক করবে’।
তার সরকারের পক্ষ থেকে চীন জানুয়ারির নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা করছে বলেও বার বার সতর্ক করা হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কেএমটি পার্টি ঐতিহ্যগতভাবে বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলে। যদি দলটি নিজেদের চীনপন্থি বলে পরিচয় দিতে রাজি নয়।
সাই এর দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) গত আট বছর ধরে তাইওয়ানের ক্ষমতায় রয়েছে। যারা চীনের সঙ্গে কঠোরভাবে দূরত্ব বজায় রেখেছে। দলটি দৃঢ়ভাবে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই নিজেদের চীনের অংশ বলে স্বীকার করতে রাজি না।