ঈদের দিনে এ হামলায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়ের ছেলেরাসহ কয়েকজন নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছে।
Published : 11 Apr 2024, 12:17 AM
ঈদের দিনেই গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলেসহ কয়েকজন নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছে।
হানিয়ে কাতারে বাস করেন। আল-জাজিরাকে তিনি তার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের এই মৃত্যুর খবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়ের পরিবার যে এবারই প্রথম ইসরায়েলি হামলার নিশানা হয়েছে তা নয়। গতবছর নভেম্বরেও হানিয়ের বাড়িতে জঙ্গি বিমান হামলা করার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
হানিয়ের বাড়ি প্রায়ই সন্ত্রাসীদের সমাগমস্থল এবং বৈঠকখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ছিল ইসরায়েলের। তবে বিবিসি এমন দাবি নিরপেক্ষ সূত্রে নিশ্চিত হতে পারেনি।
এবারেও হানিয়ের ছেলেদের ওপর হামলার খবর নিশ্চিত করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তিন ভাই হামাসের সশস্ত্র শাখার অভিযানে তৎপর ছিল।
হানিয়ের তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের কাছে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় বোমা হামলায় নিহত হন। হামলায় একইসঙ্গে নিহত হয় হানিয়ের তিন নাতি-নাতনি। আর একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বিমান হামলায় হানিয়ের তিন ছেলে ছাড়া অন্যান্য আর কেউ হতাহতের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ওদিকে, আল-জাজিরা টিভিতে হানিয়ে বলেন, “আমার ছেলেদের রক্ত আমাদের জনগণের রক্তের চেয়ে বেশি প্রিয় নয়।” হানিয়ের ছেলেমেয়ের সংখ্যা ১৩ জন, জানা গেছে হামাস সূত্রে।
হানিয়ের তিন ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি ঈদের দিন পারিবারিকভাবে আল-শাতি শিবির পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।
হানিয়ে বলেছেন, এই মৃত্যুর কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনায় হামাসের দাবির ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না।
বিবিসি জানায়, এর আগে গতবছর অক্টোবরে শেখ রাদোয়ানের বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হানিয়ের পরিবারের ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
আল-জাজিরার সঙ্গে বুধবারের সাক্ষাৎকারে হানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তার পরিবারের ৬০ জন নিহত হয়েছে।