ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে ৩২ টি দেশের কাছে চিঠি লিখেছেন।
Published : 16 Apr 2024, 05:52 PM
ইরানের হামলার পর দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাচ্ছে ইসরায়েল।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টয বলেছেন, তিনি ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়ে ৩২ টি দেশের কাছে চিঠি লিখেছেন। এসব চিঠিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান আছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলের বিমান হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তেহরান। এরপর শনিবার ইসরায়েলে ৩শ’র বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান।
শনিবার রাতে ইরানের ছোড়া এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়। যদিও এ হামলায় ছোট্ট একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে এবং দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক চলে আসছে। ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার স্বীকার করে না এবং ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়। ওদিকে, ইসরায়েলও তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবেই দেখে ইরানকে।
ছয়মাস আগে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসা ইরানে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইরান এর প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার পর এখন সামরিকভাবে পাল্টা জবাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করার পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় আছে ইসরায়েল।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টয লিখেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মঙ্গলবার সকালে তিনি ৩২টি দেশের কাছে চিঠি লেখার পাশাপাশি ডজনখানেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন।
তিনি আরও লিখেন, “অনেক বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে ইরানকে এখনই থামাতে হবে।”
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের আরোপিত কয়েকদফা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত অক্টোবরে। তারপরও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ। নতুন আরও নিষেধাজ্ঞাও তারা আরোপ করছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এ পদক্ষেপ নিলেও যুক্তরাজ্য নেয়নি।
রেভল্যুশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করা হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক এবং সরকারের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ কেউ এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে, আবার অন্যরা এর বিপক্ষে। কারণ, আইআরজিসি কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং রাষ্ট্রের অংশ। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে ইরান যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে।