‘মৃত’ ব্যক্তির জেগে ওঠায় চমকে যান স্বজনরা, পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Published : 13 Jun 2023, 12:43 PM
হাসপাতালে বয়স্ক এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর স্বজনরা যখন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে কফিনের ভেতরে জেগে উঠেছেন সেই নারী।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ একুয়েডরে; ‘মৃত’ ব্যক্তির হঠাৎ জেগে ওঠায় চমকে যান স্বজনরা, পরে দ্রুত তাকে কফিন থেকে বের করে ফের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, বেলা মন্টোয়া নামে ৭৬ বছর বয়সী ওই নারী গত সপ্তাহে সম্ভাব্য স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে হাসাপাতালে নেওয়া হলে কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর পাঁচ ঘণ্টা পর শুক্রবার তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেন স্বজনরা। আচার অনুযায়ী মরদেহের কাপড় বদলে দিতে কফিন খুলতেই হতবাক হয়ে যান তারা; দেখতে পান, মন্টোয়া খুব জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে বের করে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে নেওয়া হয়। ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে ইকুয়েডরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, বেলা মন্টোয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর ফলে হৃদযন্ত্র সাময়িকভাবে বিকল হয়ে শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ‘মৃত্যু’ নিশ্চিত করেন।
তার ছেলে গিলবার রোডলফো বালবেরান মন্টোয়ার বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তার মাকে সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এরপর দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর মন্টোয়াকে একটি কফিনে রাখা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী একটি খোলা কফিনে শুয়ে আছেন এবং খুব জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন, চারপাশে ঘিরে আছে স্বজনরা।
কফিন থেকে বের করে স্ট্রেচারে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগে ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণও করতে দেখা যায়। যে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, এখন সেই হাসপাতালেরই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাকে।
ছেলে গিলবার বালবেরান বলেন, “আসলে কী ঘটেছে ধীরে ধীরে তা বুঝতে পারছি। এখন আমি কেবল মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রার্থনা করছি। আমি চাই তিনি বেঁচে থাকুক, আমার পাশেই থাকুক।”