প্রাথমিকভাবে বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন দুই ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
Published : 02 Dec 2024, 09:06 PM
ইরান-সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়ারা ইরাক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোর অধিকাংশই বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সহায়তা করতে এই মিলিশিয়ারা সিরিয়ায় ঢুকেছে।
সিরিয়া ও ইরাকের কর্মকর্তারা সোমবার একথা জানিয়েছেন। তেহরান দামেস্ক সরকারকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছে।
ইরাকের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা রোববার রাতে সীমান্ত ক্রসিং এড়িয়ে ট্রাকে করে সড়কপথে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তরের ফ্রন্ট লাইনে আমাদের কমরেডদের সহায়তা করার জন্য নতুন করে এই যোদ্ধাদের পাঠানো হচ্ছে। বিমান হামলা এড়াতে এই যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করেছিল।
২০২০ সাল থেকে সিরিয়ায় যুদ্ধে লিপ্ত বিদ্রোহী ও সরকার দুই পক্ষই শান্ত ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীদের একটি জোট এ সপ্তাহে আকস্মিক হামলা চালায় আলেপ্পোয়। ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম এই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সোমবার বলেছেন, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদেরকে মোকাবেলা করতে সক্ষম। তবে তেহরান-সমর্থিত আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিরোধ গোষ্ঠী তাদেরকে সহায়তা করবে এবং ইরান প্রয়োজন পড়লে যে কোনও সহায়তা দেবে।
সিরিয়া সরকার এবং রাশিয়ার জঙ্গিবিমান সোমবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে বলে জানিয়েছে অধিবাসী ও উদ্ধারকর্মীরা। উদ্বাস্তু মানুষদের একটি শিবিরেও হামলা হয়েছে। এতে ৭ জন নিহত হয়।