দেশটিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ভারি তুষারপাত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় অনেকে আহতও হয়েছে। যাতায়াত বন্ধ হয়ে অচল হয়েছে জনজীবন।
Published : 28 Nov 2024, 09:31 PM
দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় দিনের মতো ভারি তুষারপাত মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। তীব্র ঠাণ্ডায় কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ১৯০৭ সালে তুষারপাতের রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানী সিউলে এবার তৃতীয় সর্বোচ্চ ভারি তুষারপাত হয়েছে।
সিউলের নামদায়েমুন বাজারে স্যুপে চুমুক দিতে দিতে এক বাসিন্দা বলেন, “আজ প্রচুর তুষারপাত হচ্ছে। বেশ ঠাণ্ডা। তবে এই এক বাটি স্যুপে আমি সত্যিই উষ্ণ বোধ করছি।”
বৃহস্পতিবার সকালে সিউলের কিছু অংশে ১৬ ইঞ্চিরও বেশি তুষার জমেছে। ফলে ১৪০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ারও কিছু লক্ষণ দেখা গেছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা পরের দিকে শহরের মেট্রোপলিটন এলাকায় ভারি তুষারপাতের সতর্কতা তুলে নিয়েছেন।
ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা বুধবার থেকে সিউল সংলগ্ন জিয়ংগি প্রদেশে তুষারপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার খবর জানিয়েছে। বরফের নিচে চাপা পড়ে চারজনের মৃত্যু হয় এবং বরফের রাস্তায় একটি বাস পিছলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান একজন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় গাংওয়ান প্রদেশের মধ্যাঞ্চলীয় ওনজু নগরীর একটি মহাসড়কে ৫৩টি গাড়ির সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে।
সিউলের প্রধান বিমানবন্দর ইনচেয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানকার ৩১% ফ্লাইটে বিলম্ব হয়েছে এবং ১৬% ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪।
কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১৪২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং ৭৬টি ফেরি রুট স্থগিত করা হয়েছে। ট্রেন চলাচলে বিলম্বের খবর জানানো হয়েছে গণমাধ্যমে। দুপুরের মধ্যে জিয়ংগি প্রদেশে কিন্ডারগার্টেনসহ প্রায় ১ হাজার ২৮৫টি স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ওদিকে, প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কিছু এলাকাতেও ৪ ইঞ্চির বেশি তুষারপাত হয়েছে।