নাইজারে অভ্যুত্থানের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনীকে চাপ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা নাইজেরিয়ার রাজধানীতে এ বৈঠকে বসছেন।
Published : 30 Jul 2023, 02:02 PM
নাইজারে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের জরুরি বৈঠককে সামনে রেখে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সামরিক নেতারা। বলেছেন, নাইজারে কোনও ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবেন না।
নাইজারে অভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেনাবাহিনীকে চাপ দিতে কী করণীয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা নাইজেরিয়ার রাজধানীতে এ বৈঠকে বসছেন।
১৫ সদস্যবিশিষ্ট জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) এবং ৮ সদস্যবিশিষ্ট জোট ওয়েস্ট আফ্রিকান ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়নের নেতারা এসব জোটে নাইজারের সদস্যপদ স্থগিত করতে পারেন।
তাছাড়া, আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে নাইজারের সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে এবং সীমান্ত বন্ধ করা হতে পারে। নাইজারে উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতায় ফেরাতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা প্রথমবারের মতো সামরিক হস্তক্ষেপের কথাও ভাবতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাইজারের পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ চাদ ওই দুই আঞ্চলিক জোটের কোনোটিরই সদস্য না হওয়ার পরও দেশটিকে ইসিওডব্লিউএএস- সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে চাদের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের এক অভ্যুত্থানে গত সপ্তাহেই ক্ষমতাচ্যুত হন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোম। সেনাবাহিনী এতে সমর্থন দিয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান জেনারেল আবদুরাহমানে চিয়ানি গত শুক্রবার নিজেকে নাইজারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
অভ্যুত্থানের পরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ফ্রান্স নাইজারে অর্থসহায়তা বন্ধ করেছে। নিরাপত্তা সহযোগিতাও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র নাইজারের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশগুলোর একটি নাইজার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশটি ২০০ কোটি ডলার উন্নয়নে সহায়তা পায়। সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগী হিসেবেও দেশটি কাজ করে।
দুই দেশই পশ্চিম আফ্রিকা এবং মধ্য আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাইজারকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে।