প্রবাসীদের জন্য সেরা শহর ভ্যালেন্সিয়া, দুবাই, মেক্সিকো সিটি

জীবনমান, গণপরিবহন ও খেলাধুলার সুযোগ নিয়ে সন্তুষ্টি স্পেনের শহরটিকে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2022, 10:24 AM
Updated : 30 Nov 2022, 10:24 AM

প্রবাসীদের বসবাস ও কাজের জন্য সবচেয়ে সেরা স্থান হিসেবে তিন মহাদেশের তিনটি আলাদা শহরের নাম উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।

ইন্টারনেশনস এক্সপাট সিটি র‌্যাংকিং লিস্ট ২০২২-এ স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শীর্ষস্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

জীবনমান, গণপরিবহন ও খেলাধুলার সুযোগ নিয়ে সন্তুষ্টি শহরটিকে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত করেছে।

তালিকায় ভ্যালেন্সিয়ার পরে আছে দুবাইয়ের নাম। নবাগতদের সাদরে বরণ করে নেওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ শহরটির ব্যাপক প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।

পণ্য ও সেবা সস্তা হওয়ায় মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি প্রবাসীদের পছন্দের তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

৫০টি শহরের এই তালিকায় সবার নিচে স্থান পেয়েছে জোহানেসবার্গ। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষিণ আফ্রিকার এ শহরটিকে ক্রয়ক্ষমতা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বাজে শহর হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

জোহানেসবার্গের ওপরের দুটি স্থান পেয়েছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। সাশ্রয়ী আবাসনের প্রশ্নে শহরদুটি খারাপ ফল করেছে।

উত্তর আমেরিকার শহরগুলোর মধ্যে সবার উপরে আছে মিয়ামি, ১২তম স্থানে। নিউ ইয়র্ক স্থান পেয়েছে ১৬তে, টরন্টো ১৯-এ। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্থান ৪০ নম্বরে।

জীবনযাপনে খরচ কম হওয়ায় এশিয়ার ব্যাংকক প্রবাসীদের পছন্দের ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে; কাজ ও জীবনধারণে ভারসাম্য মেলবোর্নকে দিয়েছে অষ্টম স্থান। এরপরই আছে আবুধাবি। নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর স্থান করে নিয়েছে ১০-এ।

ইন্টারনেশনস ১৮১টি দেশ ও অঞ্চলের ১১ হাজার ৯৭০ প্রবাসীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কেবল ৫০টি শহরই তালিকায় আসতে ন্যূনতম ৫০ অংশগ্রহণকারীর নামোল্লেখের শর্ত পূরণ করতে পেরেছে।

ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে ওই ৫০টি শহরের মধ্যে প্রবাসীদের পছন্দের সেরা ১০ ও শেষদিকে থাকা ১০টি শহর এবং কী কারণে সেগুলো তালিকায় স্থান পেয়েছে তার অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছে।

প্রথম ১০ শহরের বর্ণনায় বলা হয়েছে:

শীর্ষে থাকা স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহর বসবাসযোগ্য, বন্ধুত্বপূর্ণ ও তুলনামূলক সস্তা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কাজ ও বিনোদনের জন্য অসাধারণ।

মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি বন্ধুত্বপূর্ণ, তুলনামূলক সস্তা পণ্যের শহর হলেও অনিরাপদ।

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন আবহাওয়া ও জীবনমানের ক্ষেত্রে অসাধারণ, কাজের ক্ষেত্র বিবেচনায় মাঝামাঝি।

স্পেনর রাজধানী মাদ্রিদ অবসর কাটানোর জন্য ভালো, এখানে প্রবাসীদের স্বাগত জানানোর সংস্কৃতি আছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও প্রবাসীরা বাড়িতে থাকার অনুভূতি পান।

সুইজারল্যান্ডের শহর বাসেলে আয়-ব্যয়, চাকরি ও জীবনমান নিয়ে প্রবাসীরা সন্তুষ্ট।

অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন শহরে মানিয়ে নেওয়া সহজ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির স্বাস্থ্যসেবা চমৎকার, এখানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দুশ্চিন্তা নেই।

সিঙ্গাপুরের প্রশাসন সাবলীল, শহরটি কর্মজীবনে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ায় আর এখানের পণ্যের মূল্যও সন্তোজনক।

আর নিচে থাকা ১০ শহরের বর্ণনায় বলা হয়েছে:

ইতালির রাজধানী রোমের জীবনমান উন্নত না, তবে প্রবাসীরা বাড়ির অনুভূতি পান।

জাপানের রাজধানী টোকিওর জীবনমান উচ্চ হলেও শহরটিতে চলাফেরা করা কঠিন।

কানাডার ভ্যাঙ্কুবার শহরে আবাসন ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে, স্থানীয়রা বন্ধুসুলভ নন।

ইতালির মিলান শহরে আয়-ব্যয়ে সমস্যা, কর্মজীবন কঠিন।

জার্মানির হামবুর্গের প্রবাসীরা খুশি নন, স্থানীয়দের বন্ধু বানানো কঠিন।

চীনের হংকং শহরে কাজ-জীবনযাপনের পরিবেশ হতাশাজনক।

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহর কাজের ক্ষেত্র বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে বাজে শহর।

ফ্রন্সের রাজধানী প্যারিস সংস্কৃতি ও খাবারের কারণে পৃথিবীর অন্যতম সেরা গন্তব্য, কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে ডিজিটাইজেশন, প্রশাসন ও ভাষা নিয়ে প্রবাসীদের হিমশিম খেতে হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহর প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বাজে গন্তব্য বলে উঠে এসেছে।