হংকংয়ের পতাকাবাহী জোসেফ শুলতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ওডেসা বন্দরে আটকা পড়ে আছে।
Published : 16 Aug 2023, 10:09 PM
কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার হামলার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ইউক্রেইনের ওদেসা বন্দর ছেড়েছে।
হংকংয়ের পতাকাবাহী জোসেফ শুলতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ওদেসা বন্দরে আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই কৃষ্ণ সাগরে দেশটির বন্দরগুলোর দখল নেয় রুশ বাহিনী। ফলে সমুদ্র পথে ইউক্রেইনের রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য ও তেলবীজ রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেইন। সমুদ্র পথে তাদের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জের পড়ে পুরো বিশ্বের উপর। হু হু করে বেড়ে যায় খাবারের দাম। বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্য সংকট।
অন্যদিকে, হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য ইউক্রেইনের গুদামগুলোতে পড়ে থেকে নষ্ট হতে শুরু করে।
এ পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেইন থেকে নিরাপদে খাদ্যশস্য বের করে আনার বিষয়ে গত বছরের শেষ ভাগে মস্কো ও কিইভের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। নানা মতবিরোধ ও আপত্তি সত্ত্বেও ওই চুক্তির অধীনে ইউক্রেইন থেকে শস্য কৃষ্ণ সাগর হয়ে রপ্তানি হচ্ছিল।
কিন্তু গত মাসে রাশিয়া ওই চুক্তি স্থগিত করে বলে, ইউক্রেইনের বন্দরের দিকে যাওয়া যেকোনো জাহাজ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
রাশিয়ার চুক্তি স্থগিতের পর কিইভ থেকে কৃষ্ণ সাগরে ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করা হয়। রাশিয়া ওই ‘করিডোরের’ প্রতি সম্মান দেখাবে কিনা তা এখনো পরিষ্কার করে বলেনি।
এ সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের পথে চলতে থাকা একটি জাহাজকে সতর্ক করতে গুলি করেছিল।
এদিকে, ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করে ইউক্রেইন বলেছে, কোনো জাহাজ যদি পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এই প্রমাণ দিতে পারে যে তারা কোনো সামরিক পণ্য পরিবহন করছে না তবে তাদের ইউক্রেইনের বন্দর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরগুলোতে আটকা পড়া পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে নিরাপদে বের করে দিতেই তারা এই ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করেছে বলে দাবি কিইভ প্রশাসনের।
ওডেসা বন্দর ছাড়া পণ্যবাহী জাহাজ জোসেফ শুলতের যৌথ মালিক বার্নহার্ড শুলতে শিপম্যানেজমেন্ট এবং চীনা একটি ব্যাংক। তারা তাদের জাহাজটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
জাহাজটিতে ২ হাজার ১১৪টি কন্টেইনারে খাদ্যপণ্যসহ ৩০ হাজার টনের বেশি পণ্য রয়েছে।