ব্রিটিশ সরকার বলেছে, কিয়ার স্টারমার এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিইভে ‘১০০ বছরের অংশীদারিত্ব’ চুক্তি সই করবেন।
Published : 16 Jan 2025, 09:47 PM
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম ইউক্রেইন সফরে গেছেন কিয়ার স্টারমার। নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা করা এবং ইউক্রেইনের সঙ্গে ‘১০০ বছরের বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতি’ নিয়ে এই সফর করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে পৌঁছেছেন স্টারমার। সেখানে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে স্বাগত জানান।
এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দুই নেতা। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য ‘কখনও ইউক্রেইনকে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়া কমাবে না।’
২০২৫ সালে ইউক্রেইনকে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি অবস্থানে দাঁড় করাতে চান স্টারমার।
যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিয়ে এই সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক শতাব্দীর জন্য ইউক্রেইনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সিএনএন জানায়, ব্রিটিশ সরকার বলেছে, কিয়ার স্টারমার এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিইভে ‘১০০ বছরের অংশীদারিত্ব’ চুক্তি সই করবেন। এই চুক্তিতে থাকবে প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান, জ্বালানি এবং বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো।
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার গতবছর জুলাইয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ইউক্রেইনে এই সফরের আগে তিনি আরেকবার কিইভ সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় স্টারমার ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কিয়ার স্টারমার লন্ডনে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার স্টারমারের আকস্মিক সফরের মধ্যেই কিইভে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে; বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে এবং বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
স্টারমারের এই সফরের পাশাপাশি ইউক্রেইনে আছেন ইতালির প্রতিরক্ষা প্রধানও। এর দু’দিন আগেই জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউক্রেইন সফর করেন।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার আগে দিয়ে চলছে এই জোর কূটনৈতিক তৎপরতা। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউক্রেইনকে দিয়ে আসা মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। ট্রাম্প এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, তিনি চান ইউক্রেইনকে সহায়তা করার বোঝা ইউরোপীয়রাই বেশি বহন করুক।