শুক্রবার দিনশেষেই ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু জিম্মির প্রথম ব্যাচকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা।
Published : 23 Nov 2023, 09:30 PM
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজায় শুক্রবার সকাল থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। এদিন শেষেই ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু জিম্মির প্রথম ব্যাচকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় প্রায় ৭ সপ্তাহের চলমান ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ে বিরতি নিয়ে প্রথম দুপক্ষের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, এ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে। উত্তর এবং দক্ষিণ গাজা পুরোটাই এই যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে।
এই সময়ের মধ্যে গাজায় ঢুকবে ত্রাণ সহায়তা। প্রথম জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে বিকাল ৪ টায়। ওদিকে, ইসরায়েলের জেল থেকেও বন্দি ফিলিস্তিনিরা এ সময় ছাড়া পাবে বলে আশা করা হচেছ। কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের একথা বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি।
তিনি বলেন, “এ যুদ্ধবিরতি থেকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেই আমরা সবাই আশা করছি।”
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এর আগে বৃহস্পতিবার থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল। যুদ্ধবিরতি চলার সময়ে সবরকম সহিংস কর্মকাণ্ডই তারা বন্ধ রাখবে বলে টেলিগ্রাম চ্যানেলে নিশ্চিত করে জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা সবাইকে হতবাক করে দেয় এবং সাধারণ ইসরায়েলিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে।
সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস। তারপর থেকে পাঁচজন মুক্তি পেয়েছেন।
এর প্রতিশোধ নিতে প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় ১৪ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।