পূর্ব ইউক্রেইনে গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না রাশিয়া মিত্র কাজাখস্তান

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় চার অঞ্চলে গণভোটকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাজাখস্তান।

রয়টার্স
Published : 26 Sept 2022, 01:27 PM
Updated : 26 Sept 2022, 01:27 PM

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় চার অঞ্চলে গণভোট চলছে। রুশ নিয়ন্ত্রিত এসব অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করে নেওয়াই এ ভোটের উদ্দেশ্য। কিন্তু কাজাখস্তান রাশিয়ার মিত্রদেশ হয়েও এ গণভোটকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাশিয়ার সাবেক সোভিয়েত অংশীদারদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ কাজাখস্তান।

সোমবার মধ্য এশিয়ার এ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের করে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দেবে না।

কাজাখ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইবেক স্মাদিয়ারভ বলেছেন, কাজাখস্তান ইউক্রেইনের আঞ্চলিক অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে এবং উভয় দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহবান জানায়।

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জমরাট তোকায়েভ বার বার জাতিসংঘ সনদ মেনে ইউক্রেইনের সঙ্গে সংঘাত সমাধানের পথে চলার আহবান জানিয়েছেন।

কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তারা রাজনৈতিক সংলাপ এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে কাজাখস্তান বিশ্বাস করে, আঞ্চলিক এবং বিশ্ব পর্যায়ে স্থিতিশীলতা রক্ষা করাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেইনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে গত শুক্রবার সকাল থেকে।

এ ভোট চলার কথা মঙ্গলবার পর্যন্ত। গণভোটের রায় পক্ষে এলে রাশিয়া ইউক্রেইনের প্রায় ১৫ শতাংশ অংশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করার সুযোগ পাবে।

পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের ভয়াবহ লংঘন, যা যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেবে।

কিইভ বলছে, তারা তাদের ভূখণ্ডের কোনো অংশে রাশিয়ার দখলদারিত্ব মেনে নেবে না এবং শেষ রুশ সেনা প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত লড়বে।

অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, কিইভের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে চাওয়া অঞ্চল ও এর জনগণকে কখনোই ছেড়ে যাবে না তারা।

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে থাকা রুশভাষীদের নির্বিচারে হত্যা ও নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষায় এবং রাশিয়াকে ধ্বংসে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করতে এই যুদ্ধ করতে হচ্ছে বলেও ভাষ্য তার।