কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্ধার অভিযান শেষ করে এখন আহতদের চিকিৎসা এবং বাড়িঘর হারানোদের সাহায্য করার দিকে মনোনিবেশ করা হবে।
Published : 20 Dec 2023, 08:34 PM
চীনে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষ। জীবিতদের উদ্ধারের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
বুধবার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা উদ্ধার অভিযান শেষ করছেন। এখন আহতদের চিকিৎসা এবং যারা বাড়িঘর খুইয়েছেন তাদেরকে সাহায্য করার দিকে মনোনিবেশ করা হবে।
সোমবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (জিএমটি ১৬:০০) গানসু প্রদেশ ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। প্রতিবেশী কিংহাই প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গানসু প্রদেশে। গানসুর জিশিশান কাউন্টির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে ভূমিধসে বহু ঘরবাড়ি এবং সড়কও ধসে গেছে।
বিবিসি জানায়, কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মী নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় জমে যাওয়া ঠাণ্ডার মধ্যে তাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে চীনের গণমাধ্যম।
চীনের উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। বহু নগরীতে তাপমাত্রা রেকর্ড নিম্নে অবস্থান করছে। গানসুর কাছে দক্ষিণের কিংহাই প্রদেশে ১৬ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
২০১৪ সালের পর থেকে চীনে এবারের ভূমিকম্পটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ২০১৪ সালের ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পশ্চিমের ইউনান প্রদেশে ভূমিকম্পে ৬ শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল।
এবারের ভূমিকম্পটির মূলকেন্দ্র ছিল স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল লিনশিয়া হুই। সেখানে অনেক চাইনিজ মুসলিম বাস করে।
চীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল মাটির মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর আরও ১০ বার পরবর্তী কম্পন হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পটি মাটির কম গভীরতায় সংঘটিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।