ইরান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তাতে গাজার এই যুদ্ধ অনিবার্যভাবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই সতর্কবার্তা দেন।
গাজার সংঘাত থেকে মধ্যপ্রাচ্য যাতে আরও অস্থিতিশীল হয়ে না ওঠে সেজন্য ওয়াশিংটন যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়েছে এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে, তাতেও শেষ রক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বৃহস্পতিবার রাতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে বলেছেন, “গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল হামলার তীব্রতা বাড়ানোর কারণে যুদ্ধের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়াটা অনিবার্য হয়ে উঠেছে।”
ইরানের রাষ্ট্র-পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তখনই আবদুল্লাহিয়ান ওই মন্তব্য করেন।
গত মাসে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং গাজা অবরোধ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। কিছু হাসপাতালে এখনও মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা গুরুতর বিপদ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, ‘ইসরায়েল গত কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে হামলা চালিয়েছে।’ গাজা সিটির বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফার প্রাঙ্গণে হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েল বলছে, আল শিফার নিচে ভূগর্ভে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও সুড়ঙ্গ আছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই সশস্ত্র এই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় অবিরাম প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।