ডুবে যাওয়া দুই নৌযানের একটি লিবিয়া, আরেকটি তুরস্ক উপকূল থেকে রওনা দেয়।
Published : 18 Jun 2024, 01:42 AM
কাঠের নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ডুবে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৬ শিশুসহ আরও ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার ইতালির দক্ষিণ উপকূলে দুটি নৌকা ডুবিতে এ ঘটনায় আরও ৫১ জনকে উদ্ধারের খবর দিয়েছে রয়টার্স।
এর মধ্যে লিবিয়া উপকূল থেকে ছেড়ে আসা কাঠের নৌকায় বাংলাদেশের নাগরিক থাকার তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ ও আওএম। তবে সেই সংখ্যা কত তা এখনও সামনে আসেনি।
রয়টার্স লিখেছে, উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ইতালির কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
জার্মান দাতব্য সংস্থা রেসকিউশিপ এর বরাতে নৌকা ডুবির এক ঘটনায় রয়টার্স লিখেছে, ডুবতে থাকা একটি কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করা হয়, তাদের মধ্যে দুইজন অচেতন ছিলেন। নৌকাটির নিচের ডেক থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধা করা হয়।
রেসকিউশিপ পরিচালিত উদ্ধারকারী জাহাজ নাদির এ উদ্ধার অভিযান চালায়। দাতব্য সংস্থাটি জানায়, অচেতন দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার ব্যক্তদের জরুরি নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে মৃতদেহ নিয়ে উদ্ধারকারী নৌযান নাদির ইতালির দ্বীপ ল্যাম্পেদুসার পথে রয়েছে।
ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ ও আওএম এর বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ নৌকায় বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, সিরিয়া ও মিশরের নাগরিক রয়েছেন।
অপর ডুবে যাওয়া নৌকার অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার নাগরিক থাকার তথ্য দেয় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।
তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা এ নৌকায় ইতালির ক্যালাবরিয়া থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আগুন ধরলে সেটি উল্টে যায়। নৌকায় থাকা ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং মৃত এক নারীসহ ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে কোস্টগার্ড।
রয়টার্স লিখেছে, জাতিসংঘের তথ্য বলছে ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে সাড়ে ২৩ হাজারের বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজ হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের প্রথমভাগে লিবিয়ার উপকূল থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা আরেক নৌযান ডু্বে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়।