গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েল এ মাসে হঠাৎ করেই বেশির ভাগ স্থলসেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে বাড়িঘরের খোঁজে সেখানে ফিরতে শুরু করেছিল ফিলিস্তিনিরা।
Published : 23 Apr 2024, 12:03 AM
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস নগরীর পূর্বাঞ্চলে আবারও হানা দিয়ে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া এই নগরীতে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা আবার পালাতে বাধ্য হচ্ছে। অধিবাসীরা সোমবার একথা জানিয়েছে।
খান ইউনিসের প্রধান যে হাসপাতালটি ইসরায়েলি সেনারা ছেড়ে গিয়েছিল সেখানে গণকবর থেকে আরও অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
আরও দক্ষিণের রাফাহ নগরীতেও ইসরায়েলের হামলা চলছে। যে নগরী গাজার বাসিন্দাদের শেষ আশ্রয়স্থল। যেখানে আশ্রয় নিয়ে আছে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তুমুল লড়াইয়ের পর সেখান থেকে ইসরায়েল এমাসে হঠাৎ করেই বেশির ভাগ স্থলসেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে বাড়িঘরের খোঁজে ফিরতে শুরু করেছিল ফিলিস্তিনিরা।
খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া এক ফিলিস্তিনি আহমেদ রেজিক জানান, গত দুসপ্তাহে বাড়িতে ফেরার জন্য পূর্ব খান ইউনিসে চলে যাওয়া বহু পরিবার সোমবার সকালে আবার এই আশ্রয়স্থলে ফিরে এসেছে। তারা খুবই ভীত।
“তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ট্যাংক ভারি গোলা বর্ষণ করতে করতে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এজন্য তাদেরকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যেতে হয়েছে”, বলেন আহমেদ।
গতবছর ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এর যোদ্ধারা। এ হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এ সময় যোদ্ধারা ২৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে এখনও গাজায় যুদ্ধ চলছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।