থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে শিবির স্থাপন করে মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাম সু নাইং।
Published : 05 May 2015, 12:47 AM
থাই পুলিশের ধারণা নাইং-ই (যিনি আনোয়ার নামে বেশি পরিচিত) ওই চক্রের মূল পান্ডা।
নাখোন সি থামারাট প্রদেশের ডেপুটি কমান্ডার অব পুলিশ কর্নেল আনুচন চামসাট রয়টার্সকে বলেন, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ওই শিবিরের কাছ থেকে গত মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
“এটি একটি বড় অগ্রগতি, সে চক্রটির শীর্ষপর্যায়ের একজন, খুব সম্ভবত মূল হোতা।”
যদিও আনোয়ার মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি রাবার সংগ্রহ করে এবং রুটি বিক্রি করে জীবন ধারণ করেন।
“সেখানে অনেকজন আনোয়ার আছে। আমাকেও আনোয়ার নামে ডাকা হয়। কিন্তু আমাদের ভেবে দেখতে হবে কোন আনোয়ার মূলত মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত।”
ওই শিবিরে পাচারের শিকার হওয়া চারশর বেশি মানুষকে (যাদের অধিকাংশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশি) মুক্তিপণের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল।
মুক্তিপণ পাওয়ার পরও পাচারের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের মুক্তি না দেয়ায় আনোয়ারের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়।
সোমবার থাইল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আনোয়ারের বিরুদ্ধে এখন মানবপাচার এবং মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই অভিযোগে ওই এলাকার তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের নাগরিক পলাতক চতুর্থ একজনকে খোঁজ করছে পুলিশ।
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান থাইল্যান্ডের রাজকীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধান জেনারেল সমাইওত পোমপানমুয়াং।
শুক্রবার ওই শিবিরে একটি গণকবর আবিষ্কার করে পুলিশ। কবরে মোট ২৬টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।