একটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েক বছরে বিদেশে আটক ৬০০’র বেশি তাইওয়ানিকে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Published : 01 Dec 2021, 11:25 PM
বিবিসি জানায়, সেফগার্ড ডিফেন্ডারস নামের এই গোষ্ঠীটি বলছে, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করার হাতিয়ার হিসেবে এমন কাজ করা হচ্ছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ বলেই দাবি করে। তারা দীর্ঘদিন থেকেই জোর দিয়ে বলে আসছে যে, বিদেশে আটক তাইওয়ানিদেরকে নিজ দ্বীপদেশেই ফেরত পাঠানো উচিত।
কিন্তু তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে চীন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূতও করতেও বেইজিং দ্বিধা করবে না।
সেফগার্ড ডিফেন্ডারস ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে তথ্য সংকলন করে তৈরি করা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বেইজিং এই প্রত্যর্পণকে বর্হিবিশ্বে তাদের প্রভাব বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
চীন এই তাইওয়ান নাগরিকদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করছে বলেও অভিযোগ করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি।
স্পেনভিত্তিক এই মানবাধিকার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, চীনে পাঠানো ওই তাইওয়ান নাগরিকদের সেখানে কোনও পরিবার এবং শেকড় নেই। চীনে তারা নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
বেইজিংয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে চলতে গিয়ে কয়েকটি দেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করছে। স্পেন এবং কেনিয়া সবচেয়ে বেশি সংখ্যক তাইওয়ানিকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে সেফগার্ড ডিফেন্ডারস।
চীনে ফেরত পাঠানো তাইওয়ানিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ডিফেন্ডারস এর প্রতিবেদনে। তবে বলা হয়েছে, অন্তত দুই জনকে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।