আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরে পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তালেবানের সঙ্গে বিরোধী বাহিনীগুলোর তুমুল লড়াই অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
Published : 04 Sep 2021, 07:13 PM
দেশটির এই একটি প্রদেশ এখনও তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আছে এবং বিরোধী বাহিনীগুলো সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
তালেবান সূত্রগুলো শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিল, তারা উপত্যকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, কিন্তু বিরোধীরা তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
তারপর থেকে তারা উপত্যকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে প্রকাশ্য কোনো ঘোষণা দেয়নি তালেবান। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময়ও পানশির তালেবান শাসন প্রতিরোধ করেছিল।
পানশিরের প্রতিরোধ বাহিনী ন্যাশনাল রেজিট্যান্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তালেবান বাহিনী পানশির ও কাপিসা প্রদেশের সীমান্তের দরবন্দ মালভূমিতে পৌঁছে গিয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“আফগানিস্তানের দুর্গের প্রতিরক্ষা অটুট,” এক টুইটে বলেছেন মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি।
এক তালেবান সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পানশিরে লড়াই অব্যাহত আছে কিন্তু রাজধানী বাজারাক ও প্রাদেশিক গর্ভনরের কম্পাউন্ডের পথে মাইন পেতে রাখায় এগিয়ে যাওয়ার গতি হ্রাস পেয়েছে।
“একই সঙ্গে মাইন অপসারণ ও আক্রমণ চালানো হচ্ছে,” বলেছে সূত্রটি।
পানশিরে কী ঘটছে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্বতন্ত্র কোনো পক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়নি। উপত্যকাটি চারদিকে পবর্ত দিয়ে ঘেরা এবং সংকীর্ণ একটি গিরিপথ দিয়েই শুধু সেখানে প্রবেশ করা যায়। তালেবানের প্রথম আমলের শাসন প্রতিরোধ করার আগে এই প্রদেশটি সোভিয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিল।
শনিবার পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ কাবুলে গিয়েছেন বলে দুই দেশের রাজধানীর সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে। তবে কী কাজে তিনি কাবুল গিয়েছেন তা পরিষ্কার হয়নি। এর আগে পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, হামিদ আফগান সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনে তালেবানকে সহায়তা করতে পারেন।
দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত কাবুল সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানের লড়াইয়ে পাকিস্তান ও আইএসআই কট্টর ইসলামপন্থি দলটিকে সমর্থন যুগিয়েছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
গত মাসে তালেবান কাবুল দখল করার পর বিশ্লেষকরা বলেছেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা এখন অনেক বাড়বে।
পাকিস্তান সরকার বলেছে, ওয়াশিংটন আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বিদেশি দেশগুলোর সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের তারিখ ঘোষণার পর তালেবান অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়েছে এবং তখন থেকে এই গোষ্ঠীটির ওপর তাদের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।