তালেবান শাসনাধীনে আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্র হবে না, আগের মতই একটি শুরা কাউন্সিলের মাধ্যমে ‘শরিয়া আইনে’ দেশ পরিচালনা করতে চায় এ কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠী।
Published : 19 Aug 2021, 12:16 AM
তালেবানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আদৌ থাকবে না। কারণ, আমাদের দেশে এর কোনো ভিত্তি নেই।
“আফগানিস্তানে কোন ধরনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব না। কারণ, এটি স্পষ্ট। আর তা হল শরিয়া আইন। এটাই শেষ কথা।”
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সম্ভবত দেশের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন। ক্ষমতাসীন একটি কাউন্সিল শাসন পরিচালনা করতে পারে। তেমন কথাই হাশিমি বলেছেন রয়টার্সকে।
তিনি জানান, তালেবানের পক্ষ থেকে পাইলট ও সেনা সদস্যদের নিজ নিজ বাহিনীতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
তালেবান বাহিনীতে ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের সেনা ও পাইলটদের নেওয়ার বিষয়ে হাশিমি বলেন, তালেবান নতুন একটি জাতীয় বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। সেই বাহিনীতে তালেবান যোদ্ধারা থাকবে, পাশাপাশি আগের সরকারের বাহিনীর যারা আগ্রহী তারাও থাকতে পারবে।
“এই সেনাদের বেশিরভাগই তুরস্ক, জার্মানি ও ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাই আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে যার যার পদে ফিরে আসতে বলব। সেনাবাহিনীতে সংস্কারের জন্য আমরা অবশ্যই কিছু পরিবর্তন আনব। এরপরও তাদেরকে আমাদের প্রয়োজন আছে এবং আমরা তাদেরকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাব।”
হাশিমি আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা কাঠামোর যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা সেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের তালেবান শাসনের মতই।
তিনি জানান, আখুন্দজাদা ক্ষমতাসীন কাউন্সিলের প্রধানেরও ওপরে থাকবেন। আর এই সর্বোচ্চ নেতার কোনো একজন ডেপুটি বা উপনেতা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার তিনজন উপনেতা আছেন। তারা হলেন, মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এবং দোহার রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ও তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বারাদার।
তালেবান শাসনে আফগানিস্তান কীভাবে চলবে, তার অনেক বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে হাশিমি বলেন, এ সপ্তাহের শেষ দিকে তালেবান নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন। সে বৈঠকেই দেশ পরিচালনা নিয়ে আলোচনা হবে।