অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় পর সেখানে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে।
Published : 12 Aug 2021, 02:10 PM
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে লকডাউন কার্যকর শুরু হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সংক্রমিত ব্যক্তি কীভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কর্তৃপক্ষের তা জানা না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার পুরো রাজধানী অঞ্চলজুড়ে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলটির প্রায় চার লাখ বাসিন্দা এ বিধিনিষেধের আওতায় থাকবেন। শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন তারা।
লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ক্যানবেরার সুপারমার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে এবং সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। এই ধরনটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির বৃহত্তম দুটি শহর, সিডনি ও মেলবোর্ন কঠোর লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান নগর সিডনিসহ নিউ সাউথ ওয়েলসের বিশাল অংশ এখন লকডাউনে আছে। প্রতিবেশী রাজ্য ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্ন অন্তত আরও এক সপ্তাহ একই ধরনের বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সিডনিতে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে।
সিডনির বিভিন্ন এলাকায় কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ কার্যকরে পুলিশকে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে ৫৮০ জনের মতো নিরস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সিডনিতে সাত সপ্তাহ ধরে লকডাউন চললেও সংক্রমণ এখনও সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলসে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ৩৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর ৯০ ঊর্ধ্ব দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মোট জনগোষ্ঠীর এক চতুর্থাংশেরও কম টিকার আওতায় এসেছেন। মহামারীর ভয়াবহতা এড়াতে পারলেও বিধিনিষেধজনিত হতাশার কারণে দেশটিতে লকডাউনবিরোধী বেশ কয়েকটি বড় বিক্ষোভ হয়েছে।