আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আলোচনায় তালেবান এবং কাবুল সরকার এখনও মতৈক্য থেকে বহুদূরে। আলোচনায় তালেবান যে কোনও নতুন সরকারে ‘সিংহভাগ ক্ষমতা’ দাবি করছে বলে জানিয়েছেন বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ।
Published : 04 Aug 2021, 09:47 PM
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা চলে যেতে শুরু করার পর তালেবান একের পর এক হামলা চালিয়ে প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে অগ্রগতি অর্জনের এই সময়ে খলিলজাদ দেশটির শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এই মূল্যায়ন তুলে ধরলেন।
কলোরাডোর আস্পেন সিকিউরিটি ফোরামে এক অনলাইন সম্মেলনে খলিলজাদ বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে, তারা (তালেবান) আফগানিস্তানের আগামী সরকারে সিংহভাগ ক্ষমতা দাবি করছে।”
কাতারের দোহায় তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে সম্প্রতি শান্তি আলোচনা হলেও তাতে অগ্রগতির কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। কোনও চুক্তি ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়ে থমকে গেছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন টেলিফোনে এক কলে দোহার এই শান্তি আলোচনার বিষয়টি নিয়ে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা দুইজনই এই আলোচনা ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং আফগানিস্তানে তালেবানের চলমান হামলার নিন্দাও করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ।
তালেবানের দ্রুত অগ্রগতিতে এই শঙ্কাই তীব্র হচ্ছে যে, তারা জোর করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে সেখানে ফের কঠোর ইসলামিক শাসন কায়েম করতে চাইছে। যদিও তালেবান এও বলছে যে, তারা একটি শান্তিচুক্তি চায়।
খলিলজাদ এর আগে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালেবানের সঙ্গে গতবছর ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তির আওতায় দোহায় শুরু হয় তালেবান-আফগান সরকার শান্তি আলোচনা, যা নিয়ে এবার প্রকাশ্যে কথা বললেন খলিলজাদ।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি উত্তোরনশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।