দুই বছর আগে এক ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও তার মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতের মহারাষ্ট্রের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দেশটির একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে।
Published : 04 Nov 2020, 03:56 PM
‘রিপাবলিক টিভি’ নামের ওই চ্যানেলটির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে বুধবার পুলিশ তার মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আলিবাগ থানায় নিয়ে যায়, জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
পরে তাকে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হবে বলে মুম্বাই পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়ে গোস্বামীর বিরুদ্ধ তদন্ত চলার সময় তাকে দুই বছর আগের ওই আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হল।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ২০১৮ সালের মে মাসে আলিবাগে ৫৩ বছর বয়সী ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক ও তার মা কুমুদ নায়েক আত্মহত্যা করেন।
অন্বয়ের লেখা সুইসাইড নোটে অর্ণব গোস্বামী ছাড়া আরও ২ জনের নাম ছিল। তারা হলেন ফিরোজ শেখ ও নীতেশ সারদা। এ তিনজন তার প্রাপ্য ৫ কোটি ৪০ লাখ রুপি না দেওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন অন্বয়।
অন্বয় ছিলেন কনকর্ড ডিজাইনার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তার মা-ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
কনকর্ড রিপাবলিক টিভির হয়ে কাজ করেছিল; কিন্তু গোস্বামীর টিভি সেই কাজের টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ ছিল অন্বয়ের।
অন্বয় ও তার মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ২০১৮ সালে আলিবাগ পুলিশ একটি মামলা করে।
আলিবাগের পুলিশ ‘অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিকের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার’ বিষয়টি তদন্ত করে দেখেনি বলে অন্বয়ের মেয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এক ঘোষণায় সিআইডি মামলাটি নতুন করে তদন্ত করবে বলে জানান।
অর্ণবকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মহারাষ্ট্রে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে ক্ষমতাসীন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “মহারাষ্ট্রে আইন মানা হয়। কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”