আজারবাইজানের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের আরও ৫১ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাগোরনো-কারাবাখ।
Published : 03 Oct 2020, 08:04 PM
শনিবার এসব সেনা নিহত হয় বলে আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটি জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এ লড়াইয়ে প্রায় ২০০ লোক নিহত হয়েছেন এবং নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে কারণ আজারবাইজান তাদের কতো সৈন্য নিহত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি।
এক সপ্তাহ ধরে চলা দুই পক্ষের তীব্র লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে।
আজারবাইজানের ভিতরে আর্মেনিয়া নৃগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নাগোরনো-কারবাখের প্রেসিডেন্ট আরায়িক হারুতিউনিয়ান এর আগে জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে তার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন।
আজারবাইজানের বাহিনীগুলো তাদের প্রধান শহর স্তেপানাকের্ত এ ফের রকেট হামলা চালিয়েছে বলে নাগোরনো-কারাবাখ অভিযোগ করেছে।
এক সপ্তাহ আগে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
১৯৯০ এর দশকের পর থেকে এবারই পক্ষদুটির মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এটি ক্রমেই একটি বিস্তৃত অঞ্চলিক লড়াইয়ে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। আর্মেনিয়ার সামরিক মিত্র রাশিয়া ও আজারবাইজানের ঐতিহ্যগত মিত্র তুরস্কের এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পাড়ে, এমন আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
এতে আজারবাইজান থেকে বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে ওই সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ফ্রান্স নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে একটি শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার উদ্যোগ নিলেও শনিবার তা সফল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তাদের কয়েক দশক পুরনো শত্রুতা ফের উস্কে দেওয়ার জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান। অপরদিকে আর্মেনিয়া বলছে, ২৭ সেপ্টেম্বর বড় ধরনের একটি আক্রমণ পরিচালনার মধ্য দিয়ে আজারবাইজান এবারের লড়াই শুরু করেছে।
নাগোরনো-কারাবাখের সঙ্গে আজারবাইজানের লড়াইয়ে আর্মেনিয়া সব সময় তাদের নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলটিকে সামরিক সমর্থন দিয়ে আসছে।