নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতির আহ্বান রাশিয়া-ফ্রান্স-যুক্তরাষ্ট্রের

বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারবাখকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2020, 02:10 PM
Updated : 1 Oct 2020, 02:10 PM

বিতর্কিত এ ভূখণ্ড নিয়ে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েকবার ছোটখাটো সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও এবার বড় ধরনের সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই আহ্বান জানাল তিন দেশ।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা বলেছেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

“সেইসঙ্গে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের নেতাদেরকেও অবিলম্বে আস্থার সঙ্গে এবং কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপের আওতায় কার্যকর আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কারাবাখ সংকট নিয়ে দেশের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।

তাছাড়া, এই সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী ‘অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কো-অপারেশন’ (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপ লড়াই বন্ধে কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে পুতিন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

রাশিয়া লড়াই বন্ধের চেষ্টায় আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরকেও আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে।

পাহাড়ী অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ২০১৬ সালের পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সম্প্রতি গত রোববার থেকে তীব্র লড়াই চলছে। এতে এরইমধ্যে প্রায় ১শ’ মানুষের প্রাণ গেছে; যাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজনও রয়েছে।

নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভিতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও কারও স্বীকৃতি পায়নি।

অঞ্চলটিকে ঘিরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘাত ভূখণ্ডটির বাইরের কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় সাবেক এ দুই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে ও বড় পরিসরে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চললে তা দক্ষিণ ককেশাসের স্থিতিশীলতার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।