বৈরুতে বিস্ফোরণের একমাস পর ধ্বংসস্তুপে প্রাণের অস্তিত্ব

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে বিস্ফোরণের ঠিক এক মাসের মাথায় ধ্বংসস্তুপের নিচে অবিশ্বাস্যভাবে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

>>রয়টার্স
Published : 4 Sept 2020, 04:20 PM
Updated : 4 Sept 2020, 04:39 PM

বৃহস্পতিবার উদ্ধারকর্মীরা জানান, তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে সেন্সর দিয়ে প্রাণের স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের লক্ষণ শনাক্ত করতে পেরেছেন।

গেমায়েজ এলাকায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তুপে এই প্রাণের অস্তিত্ব আঁচ করা গেছে। ঘটনাস্থলের স্বেচ্ছাসেবী এক উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “মেশিন বলছে সেখানে কেউ জীবিত আছে। হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খোঁজাখুঁজি করছি।”

গত ৪ অগাস্ট বৈরুতের বন্দরে একটি বিস্ফোরকের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে শহরের অর্ধেকই ধুলিস্যাৎ হয়। নিহত হয় প্রায় ২শ’ জন, আহত হয় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিস্ফোরণে বন্দরের কাছাকাছি মার মাখাভেল এবং গেমায়েজ এলাকাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সেন্সর ব্যবহারের পর চিলির একটি উদ্ধারকারী দল জানায়, ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের সেন্সরে প্রতি মিনিটে ১৮ বার হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ধরা পড়েছে।

জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশায় শুক্রবারও ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ চালিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। সরানো হচ্ছে বড় বড় কংক্রীটের চাঁই। শাবল এবং হাত দিয়েও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।

কাউকে পাওয়া যায় কিনা তা দেখতে আশেপাশে ভিড় করেছে অধিবাসীরাও। এক বাসিন্দা বলেছেন, কাউকে জীবিত পাওয়া যাক সেটিই আশা করছেন তিনি। এতে তার পরিবারের লোকজনের শান্তি মিলবে। যদিও কেবল মৃতদেহই বেরোতে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, জীবিত কারও অবস্থান চিহ্নিত করতে উদ্ধারকারীরাসহ চিলির স্বেচ্ছাসেবীরা মিলে স্ক্যানার ব্যবহার করে ধ্বংসস্তুপের থ্রিডি ছবি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। “ধ্বংসস্তুপ যত সরিয়ে ফেলা যাবে ততই সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে মেশিনে জোর সংকেত পাওয়া যাবে”, সিএনএন-কে বলেন এক উদ্ধারকর্মী।

তিনি বলেন, “আমরা কুকুর এবং মেশিনের উপর নির্ভর করছি। হয়ত সেখানে কিছু নেই। কিন্তু কুকুর যতক্ষণ মানবদেহ থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে আর মেশিন হৃদস্পন্দনের সংকেত দিচ্ছে ততক্ষণ আমরা সন্ধান চালিয়ে যাব।”