বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষের পর সিচুয়ান প্রদেশের চাংতুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা করেছে চীন।
Published : 27 Jul 2020, 05:01 PM
যুক্তরাষ্ট্র-চীন পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর চাংতুতে সোমবার সকাল ১০ টা সময়সীমার মধে্য কড়া নিরাপত্তায় কনস্যুলেট ছেড়েছেন কর্মীরা।
এরপরই কনস্যুলেট ভবনের দখল নিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ। ভবনে প্রবেশ করেছেন চীনা কর্মকর্তারা। সকাল ১০ টা ২৪ এর দিকে সুরক্ষা সরঞ্জাম পরা চার কর্মকর্তাকে কনস্যুলেট ভবনে যেতে দেখা গেছে।
কনস্যুলেটের চারপাশের এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি করছে পুলিশ। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি’র ওয়েইবো সাইটে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে চাংতুর কনস্যুলেটের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে ফেলতে দেখা গেছে।
১৯৮৫ সালে চাংতুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্প্রতি সেখানে প্রায় দুইশ’ কর্মী ছিল। এর মধ্যে স্থানীয় কর্মীই ছিলেন প্রায় ১৫০ জন।
কনস্যুলেটটি বন্ধ হওয়ার সময় সেখানে কত কর্মী কাজ করছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এর আগে বেশকিছু মার্কিন কূটনীতিক চীন ছেড়ে গেছেন।
বাণিজ্য যুদ্ধ, দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ, করোনাভাইরাস মহামারী এবং হংকংয়ে চীনের নিরাপত্তা আইন জারিসহ নানা বিষয় নিয়েই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ সেই বিরোধ চরমে উঠারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার ‘গুপ্তচরবৃত্তি এবং মেধাস্বত্ব চুরির’ অভিযোগে টেক্সাসের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ওই সময়সীমা শেষের দিনই চীন পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে সিচুয়ানের চাংতুতে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়। এর কারণ ব্যাখ্যায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের “অযৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় জবাব দিতেই’ কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”