যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অরেগন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এলেন রোজেনব্লেম।
Published : 19 Jul 2020, 02:31 PM
পোর্টল্যান্ডের বিক্ষোভ থেকে কয়েকজনকে ‘বেআইনিভাবে আটক’ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন তিনি। মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে পোর্টল্যান্ডের আন্দোলনকারীরা রাতের বেলা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
গত সপ্তাহে ‘শনাক্ত করা যায় না’ এমন গাড়িতে করে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মকর্তারা জোর করে কয়েকজন বিক্ষোভকারীদের ধরে নিয়ে যান এবং ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের আটকে রাখেন বলে অরেগনের একটি সম্প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মোতায়েন করা ওই কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়েছেন বলে এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, তারা পোর্টল্যান্ড শহরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্যাড ওলফ কয়েকদিন আগে পোর্টল্যান্ডের বিক্ষোভকারীদের ‘সহিংস দুষ্কৃতিকারী’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।
শুক্রবার রাতে অরেগনের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে
মামলায় রোজেনব্লেম হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ইউএস মার্শাল সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ এবং ফেডারেল প্রটেকশন সার্ভিসের এজেন্টরা যেন পোর্টল্যান্ড থেকে আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
“এই কৌশল বন্ধ হওয়া উচিত। তারা কেবল প্রথম সংশোধনীতে দেয়া অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে পালনকে অসম্ভবই করে তুলছে না, আমাদের সড়কগুলোর পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। তাদের কৌশল একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এবং অরেগনের চরিত্রের সঙ্গে যায়-ই না,” বিবৃতিতে বলেছেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসন পোর্টল্যান্ডকে তাদের ‘ভীতিকর কৌশল’ বাস্তবায়নের জন্য বেছে নিয়েছে অভিযোগ করে এ নারী বলেন, এ ধরনের কৌশলের মাধ্যমে তারা আমাদের বাসিন্দাদের পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
“এটি দেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকেরই উচিত বাধা দেওয়া । যদি এটা পোর্টল্যান্ডে হতে পারে, তাহলে অন্য যে কোনো জায়গায়ও হতে পারে,” বলেছেন অরেগনের অ্যাটর্নি জেনারেল।
পরোয়ানা ছাড়া কাউকে আটক করায় এবং নিয়ম মেনে না চলায় কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চম সংশোধনী লংঘন করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে অরেগনের গভর্নর কেট ব্রাউনও কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্টদের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে করেছিলেন।
গত সপ্তাহে অরেগন পাবলিক ব্রডকাস্টারের (ওপিবি) এক প্রতিবেদনে, ‘শনাক্ত করা যায় না’ এমন গাড়িতে করে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিক্ষোভকারীদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া ও আটক করে রাখার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিল।