ইরানের একটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলে দেশটির জ্বালানী কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
Published : 06 Jul 2020, 11:02 AM
বৃহস্পতিবার নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রের সমৃদ্ধকরণ অংশে লাগা আগুনের কারণ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
আগুনে ধ্বংস হওয়া যন্ত্রপাতির বদলে সেখানে আরও উন্নত যন্ত্রপাতি বসানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, আগুনে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রের সেন্ট্রিফিউজ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য সম্ভাব্য সাইবার-অন্তর্ঘাতকে দায় দিয়েছেন কিছু ইরানি কর্মকর্তা।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে সেন্ট্রিফিউজের দরকার হয়। এই ইউরেনিয়াম রিয়্যাক্টরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।
রোববার ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) মুখপাত্র বেহরুজ কামালভানদি জানান, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ নাতাঞ্জের আগুন নিয়ে কথা বলছেন না।
এই ঘটনায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
“এই ঘটনায় মধ্যবর্তী সময়ে উন্নত সেন্ট্রিফিউজের উন্নয়ন ও উৎপাদন কমে যেতে পারে। ইরান ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির জায়গায় আরও বড় একটি ভবন তৈরি করবে, সেখানে আরও উন্নত যান্ত্রপাতি থাকবে,” বলেছেন কামালভানদি।
নাতাঞ্জের ‘একটি নির্মাণাধীন শিল্প শেডে’ আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরে এইওআই আংশিক পোড়া একটি ভবনের ছবি প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষকরা এই ভবনটিকে একটি নতুন সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কারখানা হিসেবে শনাক্ত করেছে বলে বিবিসির ভাষ্য।
‘সাইবার হামলার’ কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানি কর্মকর্তারা এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, তবে তারা কোনো প্রমাণের কথা উল্লেখ করেননি।
গত সপ্তাহে ইরানে আরও কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নাতাঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ছয় দিন আগে ইরানের পারচিন সামরিক কমপ্লেক্সের কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ‘গ্যাস লিকেজের’ কারণে ওই বিস্ফোরণটি হয়েছিল বলে ইরানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কিন্তু বিস্ফোরণটি সামরিক কমপ্লেক্সের নিকটবর্তী একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থাপনায় ঘটেছিল বলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।